ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়েরের ২২ ঘণ্টার মাথায় অভিযোগপত্র জমা

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করার ২২ ঘণ্টার মাথায় আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন মামলার একমাত্র অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তদন্ত শেষ করে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের জয়কালি গ্রামের বাসিন্দা আরিফ দর্জির (৩০) সঙ্গে বোয়ালমারীর দাঁদপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক কিশোরীর (১৩) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আরিফ দিনে ও রাতে ওই কিশোরীর সঙ্গে (১৩) দেখা করতেন। বিষয়টি ওই কিশোরীর বান্ধবী (১৪) জানত। বান্ধবী আরিফকে এভাবে দেখা করতে মানা করে। এর উত্তরে আরিফ ওই কিশোরীর বান্ধবীকে এ কাজে সহযোগিতা করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ওই কিশোরী এ প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।

এর জের ধরে আরিফ ক্ষিপ্ত হন। ৮ জুন রাত আটটার দিকে ওই কিশোরী বাড়ির পূর্ব পাশে টিউবওয়েলে হাত–মুখ ধুতে গেলে ওত পেতে থাকা আরিফ দর্জি কিশোরীর মুখে গামছা বেঁধে জোর করে পাটখেতের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ধর্ষণ করতে না পেরে আরিফ ওই কিশোরীকে মারধর করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কিশোরী আরিফের হাত থেকে ছুটে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বাড়ির দিকে দৌড়ে চলে আসে। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ১০ জুন (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বোয়ালমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার পান এসআই মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। তিনি ২২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের কাজ শেষ করে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এসআই শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলাটির তদন্তের ভার পাওয়ার পর প্রথমে আসামি আরিফকে গ্রেপ্তার করেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আরিফ দোষ স্বীকার করেন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ২২ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণচেষ্টার এ মামলার আসামি গ্রেপ্তারসহ তদন্তকাজ শেষ করে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।