ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ, চাচা পলাতক

প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বুধবার দুপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবার বলছে, মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তাঁর আপন চাচা। ব্যর্থ হয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন তিনি।

মেয়েটির (১৬) বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলার একটি গ্রামে। সে স্থানীয় একটি মহিলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।

পুলিশ, পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই মাদ্রাসাছাত্রী প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে নিজের শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায়। পাশের কক্ষের ঘুমাতে যান মেয়েটির চাচা (৪০)। বুধবার সকালে পরিবারের লোকজন মেয়েটির কক্ষে যান। সেখানে তার লাশ পড়ে দেখতে দেখেন। এ সময় তার চাচার কক্ষটি বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মাদ্রাসাছাত্রী বাবা কাঁদতে কাঁদতে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়েকে ওই চাচাই হত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময়ে তিনি মেয়েটির ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গলা টিপে তাকে হত্যা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর ছেলের একটি দামি মুঠোফোন নিয়ে গেছেন ওই চাচা।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ বলছে, মাদ্রাসাছাত্রীর এক নিঃসন্তান চাচা যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। মেয়েটিকে তিনি নিজের মেয়ের মতো করে দেখতেন। সংসারের ভরণপোষণের টাকা মেয়েটির কাছেই পাঠাতেন। এ নিয়ে বাড়িতে থাকা ওই চাচার সঙ্গে মেয়েটির বিরোধ বাধে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে। তবে মেয়েটিকে ধর্ষণের কোনো আলামত মেলেনি বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) কামরুল ইসলাম।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব রহমান। তিনি বলেন, মেয়েটির হাতে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পলাতক চাচাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।