ধর্ষণের পর শিশুকে গলায় রশি বেঁধে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১

ফাঁকা বাড়িতেই ধর্ষণের শিকার হয়েছে সাত বছরের এক শিশু। তখন তার পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিল না। ধর্ষণের পর শিশুটির গলায় রশি দিয়ে বারান্দার বাঁশের খুঁটিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের এ ঘটনা দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ভান্ডার ইউনিয়নের একটি গ্রামের।

গুরুতর অসুস্থ শিশুটিকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ রাসেল হোসেন (২৫) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে। পেশায় তিনি একজন গরু ব্যবসায়ী।

শিশুটির বাবা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় তাঁর মেয়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরে। মেয়ের মা মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। মেয়ের হাতে বাড়ির চাবি দিয়ে তিনি বাইরে যান। কিছুক্ষণ পর তাঁর স্ত্রী বাড়িতে এসে মেয়েকে বারান্দায় বাঁশের খুঁটির সঙ্গে রশি প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। শিশুটিকে প্রথমে বিরল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শিশুটির বাবা বলেন, ‘প্রথমে আমরা ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পারিনি। দিনাজপুরে আসার পথে দেখি তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে।’

এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক আইসিইউ বিশেষজ্ঞ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার গলা কেটে গেছে। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, রক্তক্ষরণও হয়েছে। সাধ্যমতো তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুল ইসলাম আজ দুপুরে বলেন, শিশুটিকে বাড়িতে একা পাওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাসেল হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে শিশুটির চাচা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ওসি ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, প্রথমে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। রাসেল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।