ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় বাদীর সাত বছর কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করায় জয়পুরহাটে একটি ধর্ষণ মামলার বাদীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. রোস্তম আলী এ রায় দেন। মামলার বাদীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি বিশেষ কৌঁসুলি (পিপি) ফিরোজা চৌধুরী প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বাদী হলেন শ্রীমতী নন্দ রানী (৩১)। তিনি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলা ও নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রাতে শ্রীমতী নন্দ রানী ধর্ষণের শিকার হন। পরদিন ২২ এপ্রিল তিনি নিজেই বাদী হয়ে একই গ্রামের আবুল হায়াতের বিরুদ্ধে কালাই থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ঘটনাটি মিথ্যা বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালতে দেওয়া পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেন মামলার বাদী। আদালত মামলার বাদীর নারাজির আবেদন গ্রহণ করেন। আজ মঙ্গলবার মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। মামলার বাদী শ্রীমতী নন্দ রানী ও আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ঘটনাটি মিথ্যা বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আজ বাদী শ্রীমতী নন্দ রানী আদালতে উপস্থিত হয়ে বিচারককে বলেছেন, তিনি অন্যের প্ররোচনায় মিথ্যা মামলা করেছিলেন।

ফিরোজা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণ মামলার বাদী শ্রীমতী নন্দ রানী আদালতে উপস্থিত হয়ে বিচারককে বলেছেন, তিনি অন্যের প্ররোচনায় মিথ্যা মামলা করেছিলেন। তখন বিচারক মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ মাসের কারাদণ্ড দেন। আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এর আগে একই আদালত মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় তিনটি ধর্ষণ মামলার বাদীকে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আজকের ঘটনায় এ সংখ্যা দাঁড়াল চারে।

জয়পুরহাট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক সুনীল কুমার ঘোষ বলেন, ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করায় আদালত মামলার বাদী শ্রীমতী নন্দ রানীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।