ধর্ষণের শিকার কিশোরী মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই কিশোরীকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আজ শনিবার ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় মো. সুমন মোল্লা (২৫) নামে এক তরুণকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। সুমন মোল্লা আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের বাবা। সুমন মোল্লা একজন কৃষক।

থানা সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে মামাবাড়িতে থেকে ওই কিশোরী পড়ালেখা করে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রতিদিনের মতো বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় ওত পেতে থাকা সুমন মোল্লা তাকে পেছন থেকে গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরে পাশের একটি জমিতে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।

অসুস্থ ওই কিশোরী পরে বহু কষ্টে বাড়িতে পৌঁছে মামা-মামির কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ওই কিশোরীর চিকিৎসা চলছে।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান দিলরুবা জেবা বলেন, ওই কিশোরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় এ হাসপাতালে আনা হয়। তার অস্ত্রোপচার ও দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি বলেন, কিশোরীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলে আগামীকাল রোববার তাকে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হবে।
আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম আহাদুল হাসান বলেন, সুমন মোল্লা এর আগেও ওই এলাকায় এ জাতীয় দুটি ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে সে দুটি ঘটনা নিয়ে মামলা হয়নি। তিনি বলেন, সুমনকে গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সে পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ অভিযান চালিয়েও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ওই কিশোরী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় কিশোরীর মামা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।