ধলই চা-বাগান চালুর দাবিতে মানববন্ধন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলই চা-বাগান খুলে দেওয়ার দাবিতে আজ বুধবার সকালে মাধবপুরের ফাঁড়ি পদ্মছড়া চা–বাগানের নারী চা–শ্রমিকদের মানববন্ধন। ছবি: প্রথম আলো
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলই চা-বাগান খুলে দেওয়ার দাবিতে আজ বুধবার সকালে মাধবপুরের ফাঁড়ি পদ্মছড়া চা–বাগানের নারী চা–শ্রমিকদের মানববন্ধন। ছবি: প্রথম আলো

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলই চা-বাগান চালু করার দাবিতে মাধবপুরের ফাঁড়ি পদ্মছড়া চা-বাগানের নারী চা-শ্রমিকেরা মানববন্ধন করেন। আজ বুধবার সকাল আটটায় কাজে যোগ দেওয়ার আগেই তাঁরা চা-বাগানের রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন।

কয়েকজন চা-শ্রমিক বলেন, ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় একটি নোটিশ টাঙিয়ে ধলই চা–বাগান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ধলই চা-বাগান কোম্পানি। গত ২৯ জুন ধলই চা-বাগানের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামকে অপসারণের দাবিকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষ চা-বাগান বন্ধ ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে ও শিগগিরই ধলই চা-বাগান খুলে দেওয়ার দাবিতে বুধবার সকাল আটটায় পদ্মছড়া চা-বাগানের নারী চা-শ্রমিকেরা ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন চলাকালে তাঁরা তিনটি দাবি করেন। দাবিগুলো হচ্ছে শিগগিরই ধলই চা-বাগান চালু করা, কোনো কারণ ছাড়া চা-বাগান বন্ধ ঘোষণার জন্য তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার এবং শ্রমিকদের জন্য গঠিত সরকারি মজুরি বোর্ডের নির্ধারিত মজুরি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কয়েকজন নারী চা-শ্রমিক বলেন, শিগগিরই ধলই চা-বাগান না খুললে প্রতিটি চা–বাগানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাম ভজন কৈরী বলেন, ধলই চা-বাগানের সমস্যা ও চা–বাগান খোলার বিষয়ে বুধবার বেলা সাড়ে তিনটায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক শুরু হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ধলই চা-বাগান মালিকপক্ষের প্রতিনিধি, চা–বাগান পঞ্চায়েত কমিটি ও মনু-ধলই ভ্যালির নেতারা উপস্থিত হন। এ বৈঠকে যদি কোনো সমাধান না আসে, তবে বড় ধরনের আন্দোলন শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, বৈঠকে ধলই চা–বাগানে বিদ্যমান সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।