ধানখেত থেকে ভেসে আসছিল নবজাতকের কান্না

ধানখেতে পাওয়া নবজাতকটি রাধা রানী মোহন্তের কোলে। শুক্রবার কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
প্রথম আলো

গ্রামের কৃষক বিষাদু মোহন্ত বাড়ির পাশের ধানখেতে বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে  কাজ করতে যান। এ সময় ধানখেতে তিনি নবজাতকের কান্না শুনতে পান। কাছে গিয়ে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় একটি নবজাতককে দেখতে পান তিনি। পরে স্ত্রীকে খবর দেন বিষাদু। স্ত্রী রাধা রানী মোহন্ত এসে নবজাতকটিকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চাঁদখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদখানা দহবন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশকে খবর দিলে কিশোরগঞ্জ থানার পুলিশ নবজাতককে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। বর্তমানে হাসপাতালে নবজাতককে দেখভাল করেছেন কৃষক বিষাদু মোহন্ত স্ত্রী রাধা রানী মোহন্ত।

এ বিষয়ে রাধা রানী মোহন্ত বলেন, ‘আমার সাড়ে তিন মাস বয়সী এক মেয়ে আছে। কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতককে আমি আমার বুকের দুধ পান করাচ্ছি। পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছি, শিশুটিকে যেন আমাকে দেওয়া হয়। তাকে আমি আমার নিজের সন্তান হিসেবে লালন পালন করব।’

আজ বেলা দুইটার দিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। রাধা রানী নামের একজন নারী তাকে মায়ের মমতায় আগলে রেখেছেন।

কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল বলেন, নবজাতকটির মা–বাবার খোঁজ করা হচ্ছে। তবে এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন নারী পুলিশ সদস্যের পাহারায় শিশুটি আছে। তিনি আরও বলেন, ‘নবজাতককে কেউ দত্তক নিতে চাইলে আমরা দিতে পারি না। তাকে আদালতের মাধ্যমে নিতে হবে।’