ধানের ব্যাপক দরপতন, সিন্ডিকেটকে দুষছেন কৃষক

আড়তে চলছে ধান কেনাবেচা। বুধবার নওগাঁর রানীনগর উপজেলার আবাদপুকুর হাটে
ছবি: প্রথম আলো

নওগাঁর রানীনগরে হঠাৎ প্রতি মণ ধানের দাম দেড় শ থেকে দুই শ টাকা কমে গেছে। কৃষকেরা এ জন্য চালকলের মালিক ও সিন্ডিকেট চক্রকে দায়ী করছেন।

কৃষক ও ধান ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে নওগাঁয় ধানের স্মরণকালের মধ্যে ধানের সর্বোচ্চ ফলন হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় হাট ও ধানের আড়তে ধান প্রকারভেদে ৯৫০ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা মণদরে বেচাকেনা হয়েছে। সেই ধান এখন ৮০০ থেকে ৭৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের আড়তদার, চাতাল ব্যবসায়ী, চালকল ব্যবসায়ী ও মাঠপর্যায়ের ধান ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দরপতন ঘটাচ্ছেন বলে কৃষকদের অভিযোগ।

জেলার রানীনগর উপজেলার সবচেয়ে বড় ধানের হাট আবাদপুকুর। ওই এলাকার কৃষক রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমি হাটে জিরাশাইল জাতের ধান ৯৫০ টাকা মণদরে বিক্রি করেছি, কিন্তু গতকাল বুধবার একই ধান বিক্রি করেছি ৮৫০ টাকা দরে। ধানের দাম আরও কমে যাওয়ায় এখন ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারিভাবে এখনো সেভাবে ধান কেনা শুরু হয়নি। এ সুযোগে সিন্ডিকেট চক্র ঈদ সামনে রেখে ধানের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দাম কমানোর অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ধানের দরপতনের সুযোগ নিয়ে মজুতদার ও চালকলের মালিকেরা তাঁদের গুদাম ভরছেন। ওদিকে দাম কমে গেলেও ঈদের খরচ ও ধান কাটার খরচ জোগাতে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে রানীনগর উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মোট ১৮ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এ বছর ধানের অভাবনীয় ফলন হয়েছে, কিন্তু ফসল কাটা ও মাড়াইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে বাজারে ধানের দাম কিছুটা কম। ফলে কৃষকেরা ধান বিক্রি করে প্রত্যাশিত অর্থ পাচ্ছেন না।