ধামরাইয়ে এক তরুণের লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

ঢাকার ধামরাইয়ের বাথলি এলাকা থেকে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এই মৃত্যুকে ঘিরে কিছু রহস্য তৈরি হয়েছে। তাই ঘটনাটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা, পুলিশ তা নিশ্চিত হতে পারেনি।

নিহত তরুণের নাম আজাদ বিশ্বাস (২৫)। বাড়ি বাথলি গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরির পাশাপাশি বাথলি বাজারে কুড়া ও ভুসির ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে আজাদ বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি তিনি। আজ সকাল সাতটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাথলি বাসস্ট্যান্ডের পাশে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

আজাদ বিশ্বাসের ভায়রা দ্বীন ইসলাম বলেন, গতকাল রাত নয়টার দিকে আজাদ তাঁকে ফোন দিয়েছিলেন। তখন আজাদ আশুলিয়ার নবীনগরে ছিলেন। আশুলিয়ার কাঠগড়ায় পাওনা টাকার তাগাদা দিয়ে বাসে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এরপর ফোন খোলা থাকলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

আজাদের স্ত্রী আঁখি আক্তার বলেন, মাস তিনেক আগে মুখোশধারী এক ব্যক্তি তাঁদের বাসায় গিয়ে আজাদকে হত্যার হুমকি দেন এবং তালাক দিয়ে তাঁকে (আঁখি) বাবার বাড়ি চলে যেতে বলেন।

আজাদের স্ত্রী আঁখি আক্তার বলেন, মাস তিনেক আগে মুখোশধারী এক ব্যক্তি তাঁদের বাসায় গিয়ে তাঁর (আঁখি) পরিচয় জানতে চান। পরিচয় জানার পর ওই ব্যক্তি আজাদকে হত্যার হুমকি দেন এবং তালাক দিয়ে তাঁকে (আঁখি) বাবার বাড়ি চলে যেতে বলেন।। এর কয়েক দিন পর হত্যার হুমকি দিয়ে একটি চিরকুট পাঠানো হয়েছিল তাঁদের বাড়িতে। আঁখি বলেন, ‘আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

আঁখির বাবা আক্কেল আলী বলেন, বছরখানেক আগে আজাদের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। এর এক বছর আগে আজাদ আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন, যা দুই মাস পরে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাঁর মেয়েকে বিয়ের পর আজাদের আগের স্ত্রী পুনরায় আজাদের সংসারে আসার চেষ্টা করছিলেন।

মানিকগঞ্জের গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, আজাদের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি পড়ে ছিল সড়ক থেকে দূরে। তাই আজাদের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।