ধামরাইয়ে যুবক হত্যায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

৯ বছর আগে ঢাকার সোহেল (৩০) নামের এক যুবককে হত্যা করার দায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমাত জাহান এই রায় দেন।

প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি শাকিলা জিয়াসমিন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন ধামরাই এলাকার বাসিন্দা শিল্পী আক্তার, মো. ইসমাইল, আবদুল মজিদ, নুর ইসলাম ও মো. সুমন। এঁদের মধ্যে নুর ইসলাম ও সুমন পলাতক। শিল্পী আক্তার, মো. ইসমাইল, আবদুল মজিদ জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী পিপি শাকিলা জিয়াসমিন বলেন, দোহারের বাসিন্দা শিল্পী আক্তারের স্বামী থাকেন সৌদি আরবে। পরে একই এলাকার বাসিন্দা সোহেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। পরে পূর্বপরিকল্পনা করে ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সোহেলকে বাসায় ডেকে এনে শিল্পী আক্তারসহ অন্যরা মিলে হত্যা করেন। সোহেল খুন হওয়ার সময় শিল্পী আক্তারের স্বামী দেশের বাইরে ছিলেন। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।

সোহেল খুন হওয়ার পর সেদিন তাঁর ভাই রকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে ধামরাই থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, সোহেলকে খুন করার কথা স্বীকার করে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) আদালতে স্বীকারোক্তি দেন আসামি শিল্পী আক্তার। এ মামলায় ধামরাই থানা-পুলিশ শিল্পীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় ১৫ জন সাক্ষীকে হাজির করা হয়।