ধুনটে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় তিন আসামির আত্মসমর্পণ

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে বগুড়া আদালতে তাঁরা আত্মসমর্থন করেন। এ সময় আদালতের বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠান।

আত্মসমর্পণ করা তিন আসামি হলেন উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের দেউড়িয়া গ্রামের আবদুল হাই (৫০), তাঁর স্ত্রী রুবিয়া খাতুন (৪০) ও ছেলে রুবেল হোসেন (২০)। এ ছাড়া পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় মাতব্বর আবু সাইদ ও এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। তবে মামলার প্রধান আসামি মাসুদ রানাকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। পুলিশ বলছে, মাসুদ রানাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জে নানাবাড়ি যাচ্ছিল নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা, ফজুলল হক ও তাঁদের সহযোগীরা রাস্তা থেকে জোর করে ওই ছাত্রীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান। পরে দেড় মাস তাকে আটকে রেখে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সিরাজগঞ্জে একটি রাস্তা অচেতন অবস্থায় মেয়েটাকে ফেলে রাখা হয়। খোঁজ পেয়ে মেয়েটাকে উদ্ধার করেন তার মা–বাবা। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে গত ১২ আগস্ট মাসদু রানা, ফজলুল হকসহ সাতজনের নামে অপহরণ মামলা করেন, যা পরে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় রূপ নেয়।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপাসিন্ধু বালা বলেন, ওই ঘটনায় পরিবারটিকে একঘরে করে মানসিক নির্যাতন করায় স্থানীয় মাতব্বর আবু সাইদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।