ধুনটে ধর্ষণ মামলার বাদীকে ছুরি মেরে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলার বাদীকে আসামিপক্ষের লোকজন ছুরিকাঘাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় ধুনট উপজেলার বানিয়াযান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে আহত মামলার বাদীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক মাস আগে ধুনট উপজেলার বানিয়াযান গ্রামের আল আমিনের ছেলে সাকিল হাসান স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে ওই ছাত্রী রাজি না হওয়ায় সাকিল হাসান ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর সহযোগীদের নিয়ে গত ২৫ মে সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে তিনি তাকে এক মাস আটক রেখে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা (৪৫) বাদী হয়ে ১ জুন সাকিলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক মাস পর স্কুলছাত্রীকে নীলফামারী জেলা শহর থেকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলার আসামি সাকিল হাসানের বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার সকালের দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এতে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামির পক্ষের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে মামলার বাদী মাঠে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সাকিলের চাচাতো ভাই রতন ও নিয়ন বাদীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রাত আটটার দিকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে মামলার বাদী মাঠে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মামলার সাকিলের চাচাতো ভাই রতন ও নিয়ন বাদীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রাত আটটার দিকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাফিজুর রহমান জানান, মামলার বাদীর শরীরের পেছন দিকে দুটি স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাকিল হাসানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এতে আসামিপক্ষের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে মামলার বাদীকে  ছুরিকাঘাত করেছেন। খবর পেয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।