ধুনটে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর নারী ইউপি সদস্যের লাশ উদ্ধার

লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার ধুনটে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর রেশমা খাতুন (৩৮) নামের এক নারী ইউপি সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য এবং গোবিন্দপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের স্ত্রী। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কুড়িগাতি এলাকায় একটি ইটভাটার পাশের ধানখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলের দিকে স্থানীয় লোকজন গরুর জন্য ঘাস কাটতে মাঠে গেলে কুড়িগাতি মাঠের একটি ইটভাটার পাশের ধানখেতে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই ধানখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই নারীর স্বামী ফরিদুল ইসলাম পরনের কাপড় দেখে লাশটি শনাক্ত করেন।

রেশমা গত শনিবার বিকেলের দিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ধানঘরায় বাবার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজ স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজি করলেও বিষয়টি তাঁর স্বামী পুলিশকে জানাননি বলে স্বীকার করেন।

ফরিদুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, তাঁর স্ত্রী রেশমা গত শনিবার বিকেলের দিকে চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ধানঘরায় বাবার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। গত কয়েক দিন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। আজ বিকেলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এ সময় পরনের কাপড় দেখে স্ত্রীর লাশ শনাক্ত করেন তিনি। তবে স্ত্রী নিখোঁজের বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানাননি বলে স্বীকার করেন।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বামী লাশ শনাক্ত করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন আগে তাঁকে হত্যা করে লাশ ধানখেতে ফেলে রাখা হয়েছে। তদন্ত না করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে পাঠানো হবে।