ধুনটে যমুনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে

বগুড়ার ধুনট উপজেলার যমুনা নদী থেকে ভলকেট দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে
ছবি: প্রথম আলো

বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এভাবে বালু তোলার ফলে যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, জনবসতি ও  আবাদি জমি নদীভাঙনের হুমকিতে পড়েছে।

সরেজমিনে ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়াজান গ্রামের কাছে যমুনা নদী ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙনরোধের জন্য তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করা হয়। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় এই কাজ করেছে। এ কারণে ৩ বছর ধরে যমুনা নদী ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আর কোনো ভাঙন দেখা যায়নি। ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে যমুনা নদী ভাঙনের আতঙ্ক ছিল না। এ অবস্থায় ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন নেতা–কর্মী কয়েক দিন ধরে যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকায় ড্রেজার মেশিন ও ভলকেট দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলাচ্ছেন। এতে প্রকল্প এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া হুমকিতে পড়েছে যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, জনবসতি ও আবাদি জমি।

অভিযোগের বিষয়ে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মাত্র ৭টি বাড়ি নির্মাণের জন্য বালু তুলতে গর্ত করেছিলাম। এখন বন্ধ করে দিয়েছি। এলাকার অন্য লোকজন যারা বালু তুলে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে, তাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, শহিদুল ইসলামকে বালু তুলতে নিষেধ করা হয়েছে। তিনি আবারও বালু তোলার চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত প্রথম আলোকে বলেন, যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি নেই। অবৈধভাবে বালু তোলার বিষয়ে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আবারও খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।