ধুনটে হত্যাসহ ৯ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার হওয়া বগুড়ার ধুনট পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনটে হত্যা, মাদকসহ বিভিন্ন আইনে হওয়া নয়টি মামলার পলাতক আসামি সোহরাব হোসেন (৩৭) নামে এক যুবলীগের নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে ধুনট থানায় এসব মামলা হয়েছে। সোহরাব হোসেন পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও ধুনট সদরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহরাব হোসেনকে এর আগে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছিল পুলিশ। এসব মামলায় পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। জামিনে মুক্তি পেয়ে সোহরাব হোসেন দলের ছত্রচ্ছায়ায় আবারও মাদকদ্রব্য বিক্রিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। গত ১৯ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে সোহরাব ও তাঁর বড় ভাই উপজেলা যুবলীগের সহসম্পাদক ফোরহাদ হোসেন (৪০) তাঁদের নিজ বাড়ির পাশে স্থানীয় মাদকসেবীদের কাছে ফেনসিডিল ও ইয়াবা বিক্রি করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ফোরহাদ হোসেনকে ৪ বোতল ফেনসিডিল ও ৩০টি ইয়াবা বড়িসহ গ্রেপ্তার করে।

সোহরাব হোসেন পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও ধুনট সদরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহরাব মাদকদ্রব্য পানিতে ফেলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুই ভাই সোহরাব হোসেন ও ফোরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। পরে ফোরহাদ হোসেনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ এপ্রিল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ঘটনার পর থেকে সোহরাব পলাতক ছিলেন। শুক্রবার সকালে বাড়িতে ফিরে আসার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর আগে খুন ও মাদক বিক্রির অভিযোগে কয়েক দফা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় সোহরাব হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। থানাহাজতে আটক সোহরাব হোসেন বলেন, পুলিশ তাঁকে মিথ্যা মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। তিনি খুনসহ অন্যান্য মিথ্যা মামলায় আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত না করে মামলাগুলোর অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সোহরাব হোসেন এলাকায় একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাঁকে মাদকসহ একাধিকবার গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাসহ ৯টি মামলা রয়েছে। শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।