নওগাঁয় এক দিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১১৫

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

নওগাঁয় গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এটি জেলায় এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আজ দুপুরে নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মোর্শেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচ ব্যক্তির মধ্যে সদর উপজেলার দুজন এবং একজন করে মহাদেবপুর, পত্নীতলা ও নিয়ামতপুরের বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ১০৭ জনের মৃত্যু হলো।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮০টি নমুনার পিসিআর ও অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ১১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৯৫। ৪৮০টি নমুনার মধ্যে নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে ২২৩টি নমুনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৩০ জন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৫৭টি নমুনার পিসিআর পরীক্ষায় ৮৫ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।

নতুন আক্রান্ত ১১৫ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭১ জন সদর উপজেলার। এ ছাড়া রানীনগরের ৮ জন, আত্রাইয়ের ১১, মহাদেবপুরের ৩, মান্দার ৫, বদলগাছির ৩, পত্নীতলার ৫, সাপাহারের ৫ ও পোরশার বাসিন্দা ৪ জন। গত বছরের ২৩ এপ্রিল নওগাঁয় প্রথম কারও করোনায় আক্রান্তের ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত জেলায় ৫ হাজার ৩১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ হাজার ৩৬১ জন সুস্থ হয়েছেন।

মৃত্যুর হার বাড়ছে
জেলায় এখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ২ দশমিক ১। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ফোকাল পারসন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বলেন, চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি শুরু হওয়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উভয়ই বেড়েছে। এই সময়ে গত বছরের তুলনায় করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যুর হার দ্বিগুণের বেশি।

করোনার প্রথম ঢেউয়ে এক বছরে যত করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়, তার চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে চলতি বছরের গত দুই মাসে।
মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বলেন, উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও নমুনা পরীক্ষা না করা এবং যথাসময়ে চিকিৎসা শুরু না করায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে।

নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ইনচার্জ শাপলা খাতুন বলেন, অনেক রোগী আছেন যাঁরা জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা নিয়ে বাড়িতে থাকছেন। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন না। তাঁরা যখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তখন হাসপাতালে আসছেন। তখন আর কিছুই করার থাকছে না।