নওগাঁয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪০ বস্তা চাল উদ্ধার

গুদাম থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪০ বস্তা চাল উদ্ধার
সংগৃহীত

নওগাঁ সদর উপজেলার একটি গুদাম থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের মাদারমোল্লা বাজারের চাল ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের গুদাম থেকে এসব চাল উদ্ধার করা হয়। খলিলুর রহমানের বাড়ি চণ্ডীপুর ইউনিয়নের ইলশাবাড়ি গ্রামে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার চণ্ডীপুর ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারীদের মধ্যে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি শুরু হয়। গতকালও কার্ডধারীরা ডিলার রুহুল আমিনের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করেন।

মাদারমোল্লা বাজারের চালের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী লোকজনের কাছ থেকে চাল কিনে মজুত করছেন, এমন সংবাদ পান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হোসেন। বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর্জা ইমাম উদ্দিনকে জানালে ইউএনও পুলিশের সহযোগিতায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অভিযান চালান। এ সময় ব্যবসায়ী খলিলুর ও তাঁর কর্মচারীদের না পেয়ে গুদামের তালা ভেঙে খাদ্য অধিদপ্তরের সিল মারা ৪০টি বস্তা উদ্ধার করা হয়। প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি চাল ছিল। ওই হিসেবে ১ হাজার ২০০ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চণ্ডীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারীদের কাছে চাল বিক্রি করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে খলিলুর চালগুলো নিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’

ইউএনও মীর্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, ওই গুদাম থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল উদ্ধারের পর গুদামটি সিলগালা করা হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ভোক্তার ব্যবহারের জন্য সরকার ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করছে। এ চাল বেচাকেনা অপরাধ। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে বলা হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হোসেন বলেন, উদ্ধার হওয়া ৪০টি বস্তার গায়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সিল মারা আছে। এ চাল মজুতের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে কোনো ডিলার সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ার গেলে তাঁর ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।