নওগাঁয় ছাত্রাবাস থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বজনের অভিযোগ ‘হত্যা’

ঝুলন্ত লাশ।
প্রতীকী ছবি

নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদরের একটি ছাত্রাবাস থেকে সুমি আখতার (১৭) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলা সদরের মাতৃছায়া ছাত্রাবাসের একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূর স্বামী সেলিম রেজার (২২) বিরুদ্ধে সাপাহার থানায় হত্যা মামলা করেছেন গৃববধূর বাবা আলী হোসেন। ঘটনার পর থেকে সেলিম রেজা পলাতক। তিনি একটি কীটনাশক কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। ছাত্রাবাসের যে কক্ষ থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়, সেই কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন সেলিম রেজা।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে সুমি আখতারের সঙ্গে এক বছর আগে সাপাহার উপজেলার উত্তরপাতাড়ী গ্রামের তফিজুল ইসলামের ছেলে সেলিম রেজার বিয়ে হয়। বিয়ের তিন-চার মাস পর থেকেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সালিস বৈঠকও হয়েছে। বিয়ের পর থেকে অধিকাংশ সময় সেলিম মাতৃছায়া ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে ভাড়া ছিলেন। করোনাকালে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্রাবাসের অন্য কক্ষগুলো খালি। এক বছর ধরে তাঁর স্ত্রী সুমি মাঝেমধ্যে ওই ছাত্রাবাসের কক্ষে থাকতেন।

সেলিম গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর শ্বশুরকে ফোন করে জানান, সুমি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে সুমির বাবা ও অন্য স্বজনেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সেলিম সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সাপাহার থানা–পুলিশ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় সুমির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
সুমির বাবা আলী হোসেনের অভিযোগ, সেলিম তাঁর মেয়েকে হত্যা করেছেন। এখন আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।

সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেকুর রহমান সরকার বলেন, সুমির মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ আজ সকালে নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার আসামি সেলিম রেজাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।