নওগাঁয় ডিজিটাল আইনের মামলায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

নওগাঁর ধামইরহাটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক তহিদুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার রসপুরবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ধামইরহাট পুলিশ।

গতকাল রোববার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলদার হোসেন স্থানীয় সাংবাদিক এম এ রাজ্জাক (৩৮), যুবদল নেতা তহিদুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

এম এ রাজ্জাক নওগাঁর মান্দা উপজেলার পরানপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার মান্দা উপজেলা প্রতিনিধি। এ ছাড়া তিনি দৈনিক সত্যের সন্ধ্যান ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল শিক্ষাতথ্য ডটকমের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি। যুবদল নেতা তহিদুল ইসলাম ধামইরহাট উপজেলার রসপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, দেলদার হোসেন ও তাঁর ছোট ভাই উপজেলার খেলনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে নিয়ে একাধিক মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য সাজিয়ে এম এ রাজ্জাক সম্প্রতি দৈনিক সত্যের সন্ধ্যান পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল শিক্ষাতথ্য ডটকমে সংবাদ প্রকাশ করে। ‘২ বিঘা জমি থেকে আঙুল ফুলে কলাগাছ’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই সংবাদে দেলদার হোসেন ও তাঁর ভাই আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি করে সম্পদ অর্জন ও দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তোলা হয়। সেই সংবাদ ২১ সেপ্টেম্বর ধামইরহাট বার্তা নামের একটি ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক তহিদুল ইসলাম।

দেলদার হোসেন বলেন, ‘আমাকে ও আমার ভাইয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও মানহানিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় ও সম্মানহানি করা হয়েছে। আমার ধারণা, কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পেতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছি।’

মামলার অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিক এম এ রাজ্জাক মুঠোফোনে আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্প্রতি আতাউল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি আওয়ামী লীগ নেতা দেলদার হোসেন ও তাঁর ভাই আবদুস সালামের বিরুদ্ধে নওগাঁর পুলিশ সুপারের কাছে ভূমি দখলের অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আমি সংবাদ প্রকাশ করেছি। এখানে কোনো মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করিনি। মামলা হয়েছে আদালতেই মোকাবিলা করব।’

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মমিন জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলায় অপর অভিযুক্ত এম এ রাজ্জাক পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।