নওগাঁয় ডিশ ব্যবসায় আধিপত্য নিয়ে খুন হন উজ্জ্বল

প্রতীকী ছবি

নওগাঁ সদর উপজেলায় ডিশ ব্যবসায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী উজ্জ্বল হোসেন (২৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, নেশা করার কথা বলে ডেকে নিয়ে উজ্জ্বল হোসেনকে (২৫) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ডিশ ও মাদকের ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের এবং পাওনা টাকা চাওয়ায় উজ্জ্বলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আসামিরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

নিহত উজ্জ্বল হোসেনের বাড়ি সদর উপজেলার বিল ভবানীপুর এলাকায়। গত রোববার সকালে বিল ভবানীপুর এলাকায় স্থানীয় লোকজন মাঠে কাজ করতে গিয়ে পাটখেতের মধ্যে উজ্জ্বলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় উজ্জ্বলের মা রহিমা খাতুন বাদী হয়ে কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই দিনই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনজনকে ছেড়ে দেয়। অন্য তিনজনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

আজ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উজ্জ্বল হোসেন হত্যার ঘটনায় চারজন জড়িত। তাঁরা সবাই ডিশ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ছাড়া তাঁরা মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বিল ভবানীপুর গ্রামের সুজন (২৯), শরিফ (২৫) ও আবদুল হান্নান (২৮)। এই তিনজনের মধ্যে গ্রেপ্তার সুজন ও শরিফ গতকাল সোমবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে একই গ্রামের রায়হান আলম (৩০) নামে অপর এক যুবক জড়িত বলে পুলিশ সন্দেহ করছে। তিনি পলাতক।

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, গত শনিবার হত্যাকারীরা স্থানীয় বাজারের একটি দোকানে মিলিত হন। ডিশ ও মাদকের ব্যবসায় আধিপত্য নিশ্চিত করতে সেখানে উজ্জ্বলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে রায়হান ও হান্নান ফোন করে উজ্জ্বলকে নেশা করার কথা বলে বিল ভবানীপুর গ্রামের একটি নির্জন মাঠে ডেকে নেন। সেখানে শরিফ ও সুজনও যান। সেখানে উজ্জ্বলকে খুন করা হয়। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পাশের একটি পাটখেতের মধ্যে উজ্জ্বলের লাশ ফেলে রেখে চলে যান আসামিরা।