নওগাঁয় নির্বাচনী প্রচারণাকালে হামলায় বিএনপির প্রার্থীসহ আহত ১০

নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে সমর্থকসহ বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র নজমুল হক নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে গতকাল শনিবার রাতে হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন। হামলায় বিএনপির প্রার্থীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রাত ৮টার দিকে নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠ এলাকায় গণসংযোগ চালানোর সময় বিএনপির প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির প্রচারণার কাজে অংশ নেওয়া নেতা–কর্মী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল ৫টা থেকে নওগাঁ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এলাকার জনকল্যাণ মোড় থেকে হেঁটে গণসংযোগ শুরু করেন বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকেরা। রাত ৮টার দিকে নওযোয়ান মাঠের উত্তর পাশে কাঁচাবাজার এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তাঁরা। এ সময় ১০-১২টি মোটরসাইকেল নিয়ে হেলমেটধারী ২০-২৫ যুবক বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। হামলায় বিএনপির প্রার্থী নজমুল হক, তাঁর ছেলে সাদমান নিলয়, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস শুকুর, সদস্য এ টি এম ফিরোজ হোসেন, আকলাকুর রহমান ও আবদুল হাকিম, নওগাঁ জেলা জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংসদের (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক এম কে ইকবাল, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলাল হোসেন, নওগাঁ জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম ও জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক ময়নুল হক আহত হয়েছেন।

বিএনপির অন্য নেতা–কর্মী ও স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় নওযোয়ান মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট কার ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন হামলাকারীরা। একই রাতে শহরের দয়ালের মোড় ও জনকল্যাণ মোড় এলাকায় বিএনপির প্রচার ক্যাম্প ভাঙচুর করে দুবৃর্ত্তরা।

আজ সকালে মুঠোফোনে বিএনপির প্রার্থী নজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকেরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তাঁদের হামলার মূল লক্ষ্য ছিলাম আমি। কিন্তু আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ছেলে ও কয়েকজন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলার পর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমি ছাড়া পেলেও অন্যরা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা বিএনপির প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটা দলীয় কোন্দলের কারণে হতে পারে। এখানে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয়।’

আজ সকাল ১০টার দিকে নওগাঁ সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।