নকলায় বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধে কনের মায়ের জরিমানা

বাল্যবিবাহ
প্রতীকী ছবি

শেরপুরের নকলা উপজেলায় কিশোরীকে (১৩) বিয়ে দেওয়ার অপরাধে তার মাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমান অভিযান চালিয়ে তাঁকে জরিমানা করেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৌড়দ্বার গ্রামের এক কিশোরীর সঙ্গে একই উপজেলার তেঘড়ী গ্রামের এক ছেলের বিয়ের আয়োজনের খবর পায় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইউএনও জাহিদুর রহমান ওই কিশোরীর বাড়িতে অভিযান চালান। কিন্তু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই বিয়ের নিবন্ধন ও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। এ সময় আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বরযাত্রী, কাজি ও কনের বাড়ির সব পুরুষ পালিয়ে যান।

এ পরিস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুর রহমান কিশোরীকে (১৩) বিয়ে দেওয়ার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কনের মাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কনেকে বরের বাড়িতে যেতে দেবেন না এবং বরকেও কনের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেন। অভিযানকালে নকলা থানার পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আদালতকে সহযোগিতা প্রদান করেন।

ইউএনও জাহিদুর রহমান প্রথম আলোক বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল নকলাকে জেলার প্রথম বাল্যবিবাহমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তাই এ উপজেলায় বাল্যবিবাহ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। নকলা উপজেলায় বাল্যবিবাহের কোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক, বর, আয়োজক ও কাজিকে আইনের আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে বাল্যবিবাহ নিরোধ ও বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।