নকলায় মাটির নিচ থেকে নারীর বস্তাভর্তি লাশ উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী ছবি

শেরপুরের নকলা উপজেলায় বিধবা নারীর বস্তাভর্তি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা বন্দেরবাড়ি গ্রামে বসতঘরের পাশে মাটির নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া লাশটি খোদেজা বেগম (৬০) নামের এক নারীর। তিনি উপজেলার নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা বন্দেরবাড়ি গ্রামের মৃত আশকর আলীর স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে খোদেজার স্বামী আশকর আলী মারা যান। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। দুই ছেলে গাজীপুরের ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। আর মেয়েটি নকলা উপজেলার একটি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। দরিদ্র বিধবা খোদেজা একাই ধনাকুশা বন্দেরবাড়ি গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। গত সোমবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে মায়ের নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে বড় ছেলে খোরশেদ আলম ধনাকুশা বন্দেরবাড়ি গ্রামের বাড়িতে আসেন। নকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে গত মঙ্গলবার রাতে তিনি (খোরশেদ) নকলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই সঙ্গে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মায়ের সন্ধান পাননি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে খোদেজা বেগমের বসতঘরের আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একটি কুকুর মাটি খুঁড়ে ফেললে একপর্যায়ে বস্তাভর্তি অর্ধগলিত লাশ বেরিয়ে আসে। এ সংবাদ পেয়ে নকলা থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পরে খোরশেদ আলম লাশটি তাঁর মা খোদেজা বেগমের বলে শনাক্ত করেন।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া লাশটি অর্ধগলিত ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন আগেই দুর্বৃত্তরা তাঁকে (খোদেজা) হত্যা করে লাশ বস্তাভর্তি করে মাটির নিচে পুঁতে রাখে। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদ্‌ঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।