অভিযুক্ত যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

শেরপুরের নকলায় সাড়ে চার বছর আগে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) অপহরণপূর্বক ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে আসামি রানা মিয়া ওরফে অন্তরকে (২৫) ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ধর্ষণের আগে অপহরণের দায়ে আরও ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন তাঁকে। এ ছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আরও ২টি পৃথক ধারায় ওই যুবককে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে রায়ে।

শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. আখতারুজ্জামান আজ বুধবার বিকেলে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। আসামি রানা মিয়া বর্তমানে পলাতক। তাঁর অনুপস্থিতেই আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. গোলাম কিবরিয়া রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, আদালত ছাত্রীটিকে ধর্ষণের অভিযোগে আসামি রানা মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপহরণের অভিযোগে আরও ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। আসামি রানা মিয়া পলাতক থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের দিন থেকে যুগপৎ এই সাজা কার্যকর হবে।

আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ছুটি শেষে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী। পথে নকলা উপজেলার পাঠাকাটা গ্রামের সড়ক থেকে নকলা উপজেলার পাঠাকাটা গ্রামের রইস উদ্দিনের ছেলে রানা মিয়া জোরপূর্বক তাকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে ছাত্রীটিকে বিভিন্ন স্থানে রেখে রানা মিয়া তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে ২০১৬ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় নকলা থানার পুলিশ পাঠাকাটা গ্রাম থেকে অপহৃত ছাত্রীটিকে উদ্ধার এবং রানা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে রানা পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রানা মিয়ার বিরুদ্ধে নকলা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে নকলা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজ আল আসাদ রানা মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ শেষে আদালত আজ উপরিউক্ত দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।