নকলায় ৯ ইউপিতে আ.লীগের ৭ বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

ইউপি নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

শেরপুরের নকলা উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। এদিন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৯ প্রার্থীসহ ৪২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে সাতজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নকলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউপির নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪২ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে ৮৯ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ২৯৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে একজন নারী প্রার্থী আছেন। তিনি হলেন আঞ্জুমান আরা বেগম। বানেশ্বরদী ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। আঞ্জুমান আরা উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক।

নয়টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে যে সাতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁরা হলেন নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মো. নূরে আলম, সদস্য মো. আমির হামজা, বানেশ্বরদী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল আনোয়ার, টালকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, টালকি ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি এস এম খোরশেদ আলম, চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও সদস্য মো. কামরুজ্জামান।

সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উরফা ইউনিয়ন থেকে নূরে আলম, গণপদ্দী ইউনিয়ন থেকে আমির হামজা, টালকি ইউনিয়ন থেকে বেলায়েত হোসেন আকন্দ, এস এম খোরশেদ আলম, চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন থেকে মোখলেছুর রহমান ও মো. কামরুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গণপদ্দী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমির হামজা বলেন, তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা শ্রমিক লীগের এক দায়িত্বশীল নেতা প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থীর নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে যাঁরা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা হয়তো কারও বিরুদ্ধে ব্যক্তিবিদ্বেষ বা মান-অভিমান করে প্রার্থী হয়েছেন। যাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হবে। কারণ, নির্বাচনের কারণে তাঁরা কাউকে দল থেকে হারাতে চান না।

নকলার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই ৪ নভেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ নভেম্বর। ভোট গ্রহণ হবে ২৮ নভেম্বর।