নকশা মেনে ভবন করা হয় না

২০১১ সালের ১০ জুলাই যাত্রা শুরু হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের। এরপর টানা দুই মেয়াদে করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন মো. মনিরুল হক (সাক্কু)। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম নির্বাচনে বিএনপি থেকে অব্যাহতি নিয়ে নাগরিক সমাজের ব্যানারে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন তিনি। ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম মেয়রের দায়িত্ব নেন। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বার মেয়র পদে সামান্য ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। ওই বছরের ১৭ মে তিনি দ্বিতীয় দফা মেয়রের দায়িত্ব নেন। এর আগে ২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তত্কালীন কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। তখন ২০০৭ সালের ৭ মে পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন। টানা ১৫ বছর ৮ মাসের বেশি সময় তিনি নগরপিতার দায়িত্ব পালন করছেন। নগরের উন্নয়ন–ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা, সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। নগর ভবনে ১ জুন দুপুরে সাক্ষাত্কারটি নিয়েছেন প্রথম আলোর কুমিল্লা অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীউল হক

মো. মনিরুল হক
প্রশ্ন:

প্রথম আলো: অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে কুমিল্লা নগর। এক ভবনের গা ঘেঁষে আরেক ভবন হচ্ছে। সড়ক ও নালার জন্য জায়গা ছাড়া হচ্ছে না। একসময়ের ছিমছাম শহরে এখন ইট–কংক্রিটের রাজত্ব। পরিবেশবাদী ও নগরপ্রেমীরা আপনার বিরুদ্ধেই আঙুল তুলছেন। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

মো. মনিরুল হক: সিটি করপোরেশন এলাকায় ইমারত নির্মাণের জন্য বিধিমালা আছে। সে মোতাবেক আমরা নকশার অনুমোদন দিয়ে থাকি। এই ক্ষেত্রে আমরা শর্ত দিয়েই নকশার অনুমোদন দিই। কিন্তু অনুমোদন হওয়া নকশায় কাজ করেন না বাড়ির মালিক ও আবাসন ব্যবসায়ীরা। সিটি করপোরেশনে লোকবল কম, এ অবস্থায়

মনিটরিং প্রতিনিয়ত করা যাচ্ছে না। তবে খবর পেলে নোটিশ করি। কারও কারও পানি ও বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিই। কেউ ৭ তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে ৯ তলা, কেউ ৯ তলা নিয়ে ১১ তলা ভবন করেছেন। আবার কেউ অনুমোদন না নিয়েও

ভবন করে ফেলেছেন। অপরিকল্পিতভাবে এ রকম বহু ভবন গড়ে উঠেছে। এখন আমরা এগুলোকে বিধিমালার মধ্যে আনব। স্থানীয় সাংসদ ও

জেলা প্রশাসককে নিয়ে বসব। অপরিকল্পিত ভবন আর নির্মাণ করতে দেব না। তবে যা কিছুই বলুন না কেন, কুমিল্লা নগরে উঁচু ভবন হয়েছে। নগরে পরিবর্তন এসেছে। শহরকে বহুতল ভবনের

কারণে সুন্দরও লাগছে। মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া থেকেও কুমিল্লা শহরকে সুন্দর লাগছে। বহুতল ভবন হওয়ার কারণে কর বেড়েছে। আগে বছরে কর পেতাম ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এখন পাচ্ছি ১৪ কোটি টাকা।

অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। কুমিল্লা নগরের বাগিচাগাঁও এলাকায়। এম সাদেক
প্রশ্ন:

প্রথম আলো: আপনিই বলছেন, অনুমোদন না নিয়েই ভবন করে ফেলছেন কেউ কেউ। কিন্তু আপনার দ্বিতীয় মেয়াদে তো কোনো ধরনের নকশার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। নকশা অনুমোদন কমিটির কোনো সভাও হয়নি। তাহলে কি আবাসন ব্যবসায়ী ও জায়গার মালিকেরা বসে থাকবেন?

মো. মনিরুল হক: দেখুন, সিটি করপোরেশন হওয়ার পর আমার প্রথম মেয়াদে অন্তত ২ হাজার ৯৩০টি ভবনের নকশার অনুমোদন দিয়েছি। দ্বিতীয় দফা দায়িত্ব নিই ২০১৭ সালের ১৭ মে। এরপর ওই বছরের ১৬ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে নকশা অনুমোদনের জন্য ভিন্ন চিঠি দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নকশা অনুমোদন দেওয়া বন্ধ রয়েছে। তবে একটা পর্যায়ে সাততলা পর্যন্ত নকশা অনুমোদনের জন্য সিটি করপোরেশনকে বলে। এর বেশি হলে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে অনুমোদন নেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসকের দপ্তর এই কাজে অপারগতা প্রকাশ করে। এখন আবার আমরাই দেব। বিধিমালা মোতাবেকই দেব। শিগগিরই নকশা অনুমোদন কমিটির সভা হবে। লকডাউনের বিধিনিষেধের কারণে সভা করা যাচ্ছে না।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: দেশের বিভিন্ন স্থানে নগরায়ণের জন্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তারা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিচ্ছে। কুমিল্লায় এটা করা যায় না।

মো. মনিরুল হক: কুমিল্লা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ করতে হলে কুমিল্লাকে বিভাগ দিতে হবে। সাধারণত বিভাগীয় শহর ও বিশেষায়িত জেলা শহরের জন্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আছে। পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে আছে। এখন কুমিল্লাতে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তবে বিভাগ হলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন বরাদ্দ বেশি পেত। তখন পরিকল্পিতভাবে কুমিল্লা নগরকে ঢেলে সাজানো যেত।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: কুমিল্লায় আবাসন খাতের ভবিষ্যৎ কেমন?

মো. মনিরুল হক: রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে কুমিল্লা শহরের অবস্থান। ভৌগোলিকভাবে কুমিল্লা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন কুমিল্লা শহরের ওপর দিয়ে গেছে। উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা ও কুমিল্লা শহর সম্প্রসারণের কারণে নগরে মানুষের চাপ বেড়েছে। বাসস্থান ও শিক্ষার জন্য কুমিল্লা শহর অত্যন্ত সুন্দর। জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা ও অন্যান্য জেলার বাসিন্দারা এখানে পরিবার নিয়ে থাকেন। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এখানে চাকরিরত ও চাকরি শেষে বাড়ি করে থাকছেন। প্রবাসীদের মধ্যে কুমিল্লার লোক বেশি। এই কারণে এই শহরে গত এক দশকে আবাসন খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে। বহুতল ভবন হচ্ছে। ঢাকা ও কুমিল্লার আবাসন ব্যবসায়ীরা উঁচু ভবন করে ফ্ল্যাট বিক্রি করছেন। মানুষ ফ্ল্যাট কিনছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ফ্ল্যাট বিক্রি কমলেও এটা বাড়বে একসময়। এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা একসময় ভালো করবেন। আমার বিশ্বাস, কুমিল্লা দেশের অন্যতম আবাসিক শহর হবে। এখানকার আবাসন খাত বিকশিত হচ্ছে। আইনগতভাবে পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করলে আবাসন ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হবে।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: কুমিল্লা নগরকে ঢেলে সাজানোর জন্য আট বছর আগে ২০ বছর মেয়াদি একটি মহাপরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেটি এখনো অনুমোদিত হয়নি। সেটার খবর কী?

মো. মনিরুল হক: মহাপরিকল্পনা অনুমোদন না হওয়ার কারণে বিদেশি বরাদ্দ কম পাচ্ছি। আশা করি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দ্রুত অনুমোদন দেবে। আমরা এখন কুমিল্লা শহরকে তিন ভাগে ভাগ করে উন্নয়ন করছি। প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই কাজগুলো করছি। লোকবল বাড়ানোর প্রক্রিয়াও চলছে। স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী কম। কিন্তু অস্থায়ী লোকবল অনেক। তাঁদের দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। জনবলকাঠামো ঠিক না হওয়ায় লোকবল এখনো পাইনি। মহাপরিকল্পনা মোতাবেক রাস্তা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। রাস্তা বাড়লে যানজট কমবে।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: কুমিল্লা নগরের আয়তন কম। তার ওপর দেখা যাচ্ছে, কোনো ওয়ার্ডে জনসংখ্যা বেশি, ভোটার বেশি। কোনো ওয়ার্ডে একেবারেই কম। এতে ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়ন বরাদ্দের ক্ষেত্রে হেরফের হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আপনার বক্তব্য কী?

মো. মনিরুল হক: এখন সিটি করপোরেশনের আয়তন ৫৩ দশমিক শূন্য ৪ বর্গকিলোমিটার। এটাকে আমরা ১৫০ বর্গকিলোমিটার করতে চাই। এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। নাগরিক সুযোগ–সুবিধা বাড়ানোর জন্য ওয়ার্ড বিন্যাস জরুরি। যেমন ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াজুরি, রেসকোর্স ও শাসনগাছা এলাকা নিয়ে। এখানে ঘনবসতি। জনসংখ্যা ও ভোটার বেশি। এ রকম কয়েকটা ওয়ার্ডের বিন্যাস করা হবে। প্রয়োজনে ওয়ার্ড বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: আপনি তো ভিন্ন রাজনৈতিক দলের মেয়র। বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছেন কি না?

মো. মনিরুল হক: কুমিল্লা নতুন সিটি করপোরেশন। বয়স এক দশকের মতো। আমি বিএনপির রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে টানা দুইবার মেয়র হয়ে কাজ করছি। গত এক দশকে স্থানীয় সাংসদ (আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন) মহোদয় আমাকে নগরের উন্নয়ন কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি নিজেও বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার টানা দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনিও জাতীয় পার্টির শাসনামলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বে ছিলেন। বিরোধী দলের মেয়র ছিলেন। নগরের উন্নয়নের জন্য তিনি প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিচ্ছেন। বরাদ্দ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছেন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর কোনো ব্যক্তি দলের নন। মেয়রের কোনো দল থাকতে পারে না। মেয়র উন্নয়নের জন্য এসেছেন। গত এক দশকে আমি নিরিবিলিভাবে কাজ করে যাচ্ছি। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীও কুমিল্লার। তিনি কুমিল্লার উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট আন্তরিক। নগরের উন্নয়নের জন্য ১ হাজার ২১৫ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সেটি অনুমোদন পাবে। এর ফলে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নয়তলাবিশিষ্ট নগর ভবন হবে। পুরোনো গোমতী নদীকে রাজধানীর হাতিরঝিলের মতো সাজানো হবে। পুরোনো গোমতী নদীর চারটি স্থানে চারটি দৃষ্টিনন্দন সেতু হবে। চলতি মাসে প্রকল্প পাস হলে আরও ধাপে ধাপে টাকা আসবে। প্রথম পর্যায়ে ৪০০ কোটি টাকা আসবে। তখন জনবল বাড়বে। নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

রাজনীতি আমার অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে। কুমিল্লার মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ৩৬৫ দিনের মধ্যে অন্তত ৩০০ দিন কুমিল্লায় থাকি। টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে কুমিল্লা নগরবাসীর খেদমত করে যাচ্ছি। আমার রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যাবে কি না, এটা এখন বলতে পারছি না। নির্বাচন এলে এই বিষয়ে কথা বলব। তবে কুমিল্লায় অনেক মেরুকরণের রাজনীতি হয়। পরিস্থিতি বুঝেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেব।
প্রশ্ন:

প্রথম আলো: ২০১৭ সালের ৩০ মার্চের নির্বাচন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৭ দফা নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখ করার মতো রয়েছে, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, যানজট নিরসন, নতুন করে করের বোঝা না চাপানো, কর্মজীবী নারীদের জন্য ইপিজেড এলাকার পাশে হোস্টেল ও শৌচাগার নির্মাণ, নকশা প্রণয়নে দ্রুত সিদ্ধান্ত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নালা নির্মাণ, পরিছন্নতাকর্মীদের আবাসন, বস্তির উন্নয়ন ইত্যাদি। তো দ্বিতীয় মেয়াদের চার বছরও শেষ হয়ে গেল। ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে?

মো. মনিরুল হক: দেখুন, নির্বাচন এলে অনেক প্রতিশ্রুতি দিতে হয়। এগুলোর কোনোটি আমি করতে পেরেছি, কোনোটি পারিনি। আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ছয়টি ময়লার গাড়ি ছিল। এখন ৪০টি গাড়ি রয়েছে। আগে পাকা নালা একেবারেই কম ছিল। বক্স করা নালা ছিল না। এখন ১৫০ কিলোমিটার নালা হয়েছে। নগরের গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো সংস্কার করা হয়েছে। এখন আমরা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। আলোকসজ্জা বেড়েছে। আমি নিজে নালা পরিষ্কারের সময় উপস্থিত থাকি। আমার সময়ে নগরের সৌন্দর্যবর্ধন হয়েছে।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: আবার নির্বাচন করবেন কি না। করলে প্রস্তুতি কেমন?

মো. মনিরুল হক: আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। রাজনীতি আমার অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে। কুমিল্লার মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ৩৬৫ দিনের মধ্যে অন্তত ৩০০ দিন কুমিল্লায় থাকি। টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে কুমিল্লা নগরবাসীর খেদমত করে যাচ্ছি। আমার রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যাবে কি না, এটা এখন বলতে পারছি না। নির্বাচন এলে এই বিষয়ে কথা বলব। তবে কুমিল্লায় অনেক মেরুকরণের রাজনীতি হয়। পরিস্থিতি বুঝেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেব।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: মেয়র হিসেবে আপনার কোনো ব্যর্থতা আছে?

মো. মনিরুল হক: আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। বিরোধী দলের মেয়র হলেও মন্ত্রী ও এমপিদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে যাচ্ছি। সবাই সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ব্যর্থ হলে তো করতেন না। নগরবাসীও আমার কাছে এসে সেবা পাচ্ছেন। সাধ্যমতো নগরবাসীর খেদমত করে যাচ্ছি। কুমিল্লা নতুন সিটি করপোরেশন, বিকশিত হতে সময় লাগবে।

প্রথম আলো: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মো. মনিরুল হক: প্রথম আলোর পাঠক ও নগরবাসীকে ধন্যবাদ।