নতুন প্রজন্মের মধ্যে সেলিম আল দীন–চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে
ফেনীর সোনাগাজীতে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ৭২তম জন্মদিন উদ্যাপন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সংক্ষিপ্তভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি, বৃক্ষরোপণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বুধবার বিকেলে সেলিম আল দীন চর্চা কেন্দ্র ফেনীর উদ্যোগে উপজেলার সেনেরখিল গ্রামে নাট্যাচার্যের পৈতৃক বাড়িতে জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সেলিম আল দীন চর্চা কেন্দ্র ফেনী জেলা কমিটির সহসভাপতি আসাদুজ্জামান দারার সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্মৃতিচারণা করেন সেলিম আল দীনের ছোট ভাই বোরহান উদ্দিন, স্থানীয় চর দরবেশ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হকের সঞ্চালনায় সেলিম আল দীনের জীবনচিত্র তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক রাজিব সারওয়ার। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক সুরঞ্জিত নাগ এ সময় নাট্যাচার্যের দেশমাতৃকাকে নিয়ে একটি বিশেষ উদ্ধৃতি পাঠ করেন।
এ সময় বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক তাহমিনা তোফা, সেলিম আল দীন চর্চা কেন্দ্র সোনাগাজী উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক আবদুর রহমান, সেলিম আল দীনের সহপাঠী গেরিলা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সেলিম আল দীনের সৃজনশীল শিল্পকর্মকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সবাইকে কাজ করতে হবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনা মহামারিকাল অতিক্রান্ত হলে আরও বৃহৎ পরিসরে জন্মদিন পালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।
সভা শেষে সেলিম আল দীনের স্মৃতিবিজড়িত পুকুরঘাটসংলগ্ন ছাতিমগাছতলায় একটি কামিনী ফুলগাছের চারা রোপণ করার মধ্য দিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। পরে বাড়ির আঙিনায় বেশ কিছু ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়।
এর আগে সেলিম আল দীনের স্মৃতিবিজড়িত কক্ষে দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম।
১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট এদিনে সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের সেনেখিল গ্রামে বাংলা নাটকের বরপুত্র সেলিম আল দীন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মফিজ উদ্দিন আহমেদ ও ফিরোজা খাতুনের তৃতীয় পুত্র ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই বাংলা নাটক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি অর্জন করে। বিষয় ও আঙ্গিক নাট্যপ্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকের আপন বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেন।
তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।