নদী সাঁতরে ভারতে তরুণ, ফিরিয়ে এনে নমুনা সংগ্রহ

সিলেটের জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদী সাঁতরে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বাংলাদেশি এক তরুণ। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরপর করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

ওই তরুণ (২৮) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে পরিবার। কয়েক দিন ধরে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেটের ব্যাটালিয়ন-১৯–এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই তরুণ মানসিক ভারসাম্যহীন। রোববার সকালে তিনি সীমান্ত এলাকা সিলেটের জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদী সাঁতরে ভারতে ঢুকে পড়েন। এ ঘটনাকে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোয় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তারা প্রচার করেছে, বাংলাদেশের করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য নদী সাঁতরে ভারতে প্রবেশ করেছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ বানোয়াট।

বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণ রোববার সকাল সাতটার দিকে কুশিয়ারা নদী সাঁতরে ভারতে প্রবেশ করেন। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ভারতের সীমন্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাঁকে আটক করে। পরে তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) খবর দেয়। সকালেই তাঁকে দুই বাহিনীর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দেশে ফিরেয়ে আনা হয়। এরপর তাঁর নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে বিজিবি নিশ্চিত হয়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ওই তরুণ মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর বাবা নেই। মা ও এক ভাই রয়েছেন। ভাইও মানসিক ভারসাম্যহীন। কয়েক দিন ধরে ওই তরুণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত). মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মেহদী বলেন, বিজিবির সদস্যরা রোববার বিকেল চারটার দিকে ওই তরুণকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। রাতে তাঁকে হাসাপাতালেই রাখা হয়। তাঁর দেহে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ নেই। তবু ভবঘুরে হিসেবে তিনি বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেছেন। সে জন্য নমুনা সংগ্রহ করে সিলেটে পাঠানো হয়েছে। সোমবার সকালে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়িতে করে নিজ এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হয়।