নদীতে ভাসছিল হাত-মুখ বাঁধা লাশটি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হারাবতী নদীতে ভাসছিল হাত-মুখ বাঁধা একটি লাশ। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার হোপীরহাটে হারাবতী নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।

নিহত ওই ব্যক্তির নাম হোসেন (৩৩)। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার কাদোয়া ঢোলপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি অটোরিকশাচালক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার সকালে হোসেন অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাঁকে পাননি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ ছিল। আজ সকালে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় একটি লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন।

ক্ষেতলাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু রায়হান বলেন, সকালে লোকজন নদীতে গোসল করতে এসে গামছা দিয়ে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় পানিতে লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে। অটোরিকশাটির খোঁজ এখনো মেলেনি।