নবজাতকের হৃৎপিণ্ড বাইরে, অর্থাভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বড়মগড়া গ্রামে শরীরের বাইরে হৃৎপিণ্ড নিয়ে জন্ম নিয়েছে এক কন্যাশিশু। উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শুক্রবার শিশুটির জন্ম হয়।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে প্রথমে বরিশাল ও পরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে পাঠানো হলেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা হয়নি। সোমবার পুনরায় শিশুটির ঠাঁই হয়েছে আগৈলঝাড়ায়।

জানা যায়, আগৈলঝাড়া উপজেলার বড়মগড়া গ্রামের দিনমজুর রমেন জয়ধরের স্ত্রী অপু জয়ধর (২০) অন্তঃসত্ত্বা। শুক্রবার তাঁকে আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতে চিকিৎসক প্রশান্ত রায় অপু জয়ধরের অস্ত্রোপচার করেন। এতে কন্যাশিশুর জন্ম হয়। তবে নবজাতকের হৃৎপিণ্ড ছিল শরীরের বাইরে।

জন্মের সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে এক দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর শনিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতকটিকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চিকিৎসক প্রশান্ত রায় বলেন, ‘আমার হাতে কয়েক হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। কিন্তু বাইরে হৃৎপিণ্ড নিয়ে জন্ম নেওয়ার ঘটনা এই প্রথম। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় বিনা চিকিৎসায় শিশুটি মৃত্যুর প্রহর গুনছে।’

শিশুটির বাবা রমেন জয়ধর বলেন, ‘জন্মের পরই দেখতে পাই, নবজাতক কন্যাশিশুটির হৃৎপিণ্ড শরীরের বাইরে বের হয়ে আছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। তাঁরা এক দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, আমার নবজাতককে চিকিৎসা করতে আট লাখ টাকা প্রয়োজন হবে। আমি এত টাকা দিতে না পারায় শিশুটিকে ভর্তি না করে ফেরত দেওয়া হয়। আমি সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ফেরত আসি এবং পুনরায় আগৈলঝাড়ার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভর্তি করি। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন সে। আমার শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য সবার সহযোগিতা চাই।’