নবীনগরে শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

একমাত্র ছেলের বিয়ে হয়েছে মাত্র তিন মাস হয়েছে। এরই মধ্যে শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা–ই নয়, নিজে তো ধর্ষণ করেছেনই, সঙ্গে এক বন্ধুকে বাড়িতে ডেকে এনেও নিজ পুত্রবধূকে ধর্ষণ করিয়েছেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ঘটনা এটি। খবর জানার পর গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে ওই দিন রাতেই তাঁদের দুজনকে আসামি করে নবীনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই পুত্রবধূ মামলা করেছেন।

মঙ্গলবার ধর্ষণ মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিন মাস আগে ওই ব্যক্তির একমাত্র ছেলের সঙ্গে পাশের বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ওই তরুণীর বিয়ে হয়। তরুণীর স্বামী ভবঘুরে ও মাজারভক্ত। বিয়ে হলেও স্বামী বাড়িতে থাকতেন না। সব সময় এলাকার একটি মাজারেই পড়ে থাকতেন তিনি। কিছুদিন আগে ওই তরুণীর শাশুড়ি নরসিংদীতে এক মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। এই সুযোগে বাড়িতে একা পেয়ে গত রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর। ধর্ষণের পর ওই রাতেই শ্বশুর তাঁর এক বন্ধুকে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্বশুরের বন্ধু ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।

পরদিন সোমবার সকালে ওই তরুণী বাবার বাড়ি বাঞ্ছারামপুরে গিয়ে পরিবারকে ঘটনা খুলে বলেন। পরে তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ সলিমগঞ্জ ইউনিয়নে শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে শ্বশুর ও তাঁর বন্ধুকে আটক করে। সোমবার রাত ১০টার দিকে ওই তরুণী বাদী হয়ে তাঁদের দুজনকে আসামি করে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ওই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রথম আলোকে বলেন, ভবঘুরে ও মাজারভক্ত হওয়ায় তাঁর স্বামী বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ির আশপাশে অন্য কোনো বাড়িঘর নেই। আর শাশুড়ি নরসিংদীতে এক ননদের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। এই সুযোগে বাড়িতে একা পেয়ে রোববার রাতে শ্বশুর তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁর বন্ধুকে বাড়িতে নিয়ে এলে তিনিও তাঁকে ধর্ষণ করেন।

নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমীন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর ও তাঁর বন্ধুকে আসামি করে ওই পুত্রবধূ থানায় মামলা করেছেন। ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্ত শ্বশুর ও তাঁর বন্ধুকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই পুত্রবধূকে পাঠানো হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে।