নমুনা দিয়ে অবাধে ঘুরেছেন, পরে জানলেন করোনা পজিটিভ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঈদের কয়েক দিন আগে এক ব্যক্তি ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরেন। বৃষ্টিতে ভিজে হঠাৎ জ্বর আসে তাঁর। জ্বর ভালোও হয়ে যায়। তার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাঁর নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়। গতকাল বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। এ তথ্য জানানোর জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফোন দিলে তাঁর স্ত্রী জানান, তিনি চা পান করতে বাইরে গেছেন।


ওই ব্যক্তির বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়। তিনি গত ২২ মে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন। তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গতকাল ওই উপজেলায় আরেক কোভিড–১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তিনি গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গাজীপুর থেকে ফেরা ওই ব্যক্তি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়িতেই ছিলেন। তবে তাঁদের দুজনের কারোই এখন করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান।

এই চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, প্রথমবার ওই ব্যক্তিকে ফোন দিয়ে না পেয়ে পরে আবার ফোন দেওয়া হয়। তাঁকে করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর জানিয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়। তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি কিছু বাড়ির লোকজনকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ওই ব্যক্তি বলেন, বাড়িতে আসার পর বৃষ্টিতে ভিজে তাঁর জ্বর এসেছিল। সেই জ্বর ভালো হয়ে যায় এমনিতেই। তার পরও তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তিনি নিজেকে সুস্থ ধরে নিয়েছিলেন। তাই স্বাভাবিক কাজকর্ম করছিলেন। এদিক–সেদিকও গেছেন।

চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমিত কুমার কুন্ডু বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই দুই ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, চারঘাট উপজেলায় গত ২৯ মে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। গতকাল পর্যন্ত এই উপজেলায় কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা ৬ জন। রাজশাহী জেলায় গতকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬৮ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১৩ জন।