নরসিংদীতে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আহত কুলসুমের মৃত্যু

নরসিংদীর শিবপুরে স্ত্রীসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক বাদল মিয়া
প্রথম আলো

নরসিংদীর শিবপুরে মো. বাদল মিয়ার ছুরিকাঘাতে তিনজনের প্রাণহানির পর আহত আরেকজনও চলে গেলেন। তাঁর নাম কুলসুম বেগম (২৬)। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কুলসুম এই ঘটনায় নিহত বাড়িওয়ালা তাইজুল ইসলামের মেয়ে এবং মনোহরদীর বগাদী গ্রামের জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। ঘটনার আগের দিন স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। তাঁর চার বছর বয়সী এক সন্তান আছে।

গত রোববার ভোরে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কুমরাদী এলাকার বাড়িটিতে দাম্পত্য কলহের জেরে উত্তেজিত অবস্থায় একাই পাঁচজনকে কোপান মো. বাদল মিয়া। এতে তিনজন নিহত ও দুজন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাদলকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ প্রহরায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ বলছে, গত রোববার ভোরের ওই ঘটনায় মো. বাদল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০), বাড়িওয়ালা তাইজুল ইসলাম (৭০) ও তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৬০) নামের তিনজন নিহত হন। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত নাজমা বেগমের ছেলে সোহাগ (১৫) ও বাড়িওয়ালা তাইজুল ইসলামের মেয়ে কুলসুমকে (২৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরের দিন সকালে বাদল মিয়াকে আসামি করে শিবপুর থানায় মামলা করেন নিহত বাড়িওয়ালার ছেলে শাহীন আলম। তিন দিন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকার পর বুধবার ভোরে কুলসুমের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট চারজন মারা গেলেন। চিকিৎসাধীন সোহাগ শঙ্কামুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
শিবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, মামলার একমাত্র আসামি পুলিশ প্রহরায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পুরোপুরি সুস্থ হতে আরেকটু সময় লাগবে। সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে হত্যার কারণ জানা যাবে।