নরসিংদীতে ট্রেন এক কিলোমিটার টেনে নিল ইজিবাইককে, চালকের মৃত্যু

নরসিংদীর রায়পুরায় উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এক ইজিবাইকচালকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার উপজেলার খানাবাড়ি রেলস্টেশনের আউটার সংলগ্ন রেলক্রসিংয়ে
ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদীর রায়পুরার অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এক ইজিবাইকচালকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রায়পুরা উপজেলার খানাবাড়ি রেলস্টেশনের আউটার–সংলগ্ন রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় ওই ইজিবাইকচালক রেলক্রসিংটি পার হচ্ছিলেন।

দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম মো. আমানুল্লাহ (২৫)। তিনি রায়পুরার মির্জানগর ইউনিয়নের উত্তর মির্জানগর গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আবদুল রশিদের ছেলে। তিনি নিজের ইজিবাইকে ধান ভানার শ্যালো ইঞ্জিন মেশিন নিয়ে কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে ধান ভাঙিয়ে দিতেন।

রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজধানী ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বেলা সোয়া ১১টার দিকে ট্রেনটি খানাবাড়ি রেলস্টেশনের আউটার–সংলগ্ন রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় আমানুল্লাহ তাঁর ইজিবাইকে ধান ভানার মেশিন নিয়ে রেলক্রসিংটি পার হচ্ছিলেন। ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়ার পর ট্রেনটি থামে। এতে ব্যাটারিচালিত ওই ইজিবাইক ও ধান ভানার মেশিনটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত আমানুল্লাহকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু ওই হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রায় ১৫ মিনিট থেমে থাকার পর ট্রেনটি পুনরায় রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। এদিকে তাঁর লাশ আর হাসপাতালে না নিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের লোকজন।

আমিনুল ইসলাম খান নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ওই ইজিবাইকে শুধু চালক ছিলেন। ওই চালক যখন তাঁর ইজিবাইক নিয়ে রেলক্রসিংটি পার হচ্ছিলেন, তখনই উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধাক্কা দিয়ে ইজিবাইকসহ ছুটে চলে। পরে খানাবাড়ি স্টেশন পার হয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পর ট্রেনটি থামে।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক ইমায়েদুল জাহেদী দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ট্রেনটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ইজিবাইকটিকে টেনে নিয়ে গেলে চালকের মৃত্যু হয়। আমানুল্লাহর লাশ তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেছেন পরিবারের লোকজন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।