নরসিংদীর চরাঞ্চলে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৯ জন গুলিবিদ্ধ

নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয়।

বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে একটির নেতৃত্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ আলী ও অন্যটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ আহত ব্যক্তিরা হলেন আসাদ আলী পক্ষের আনিছ মোল্লা (৫০), সাদেক মোল্লা (২৮), আমির মোল্লা (২৫), মো. হিমেল (২৮) ও মো. তপন (২০) এবং আইয়ুব আলী পক্ষের আমির হোসেন (৩৫), মনির মিয়া (২৯), মো. আসাদ (২৫) ও সজল মিয়া (৪৫)। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত এই ৯ ব্যক্তিকে নরসিংদী শহর ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ আলী ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলীর বিরোধ দীর্ঘদিনের। গত এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় বাজারের একটি দোকানের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরেই ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জেরে আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে দুই পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেক ধরে এ সংঘর্ষ চলে।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোজী সরকার বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ দুজন ব্যক্তিকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। তাঁদের একজনের শরীরে পাঁচটি ছিটাগুলি ও একটি বুলেট পাওয়া গেছে। আমরা তাঁদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।’

এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ আলী ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলীর বক্তব্য জানতে তাঁদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেন এই প্রতিবেদক। প্রতিবারই তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।