নলডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে বাবাকে ভোট দিতে পারলেন না ছেলে

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

ঢাকা থেকে বাবাকে ভোট দিতে এসেছিলেন নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভার বাসিন্দা মানিক ইসলাম। কিন্তু ভোট দেওয়া হলো না। তাঁর কাছে স্মার্ট কার্ড থাকলেও ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁকে ‘মৃত’ দেখানো হয়েছে। এ জন্য ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। ফলে কেন্দ্রে গিয়েও ভোট না দিয়েই ফিরতে হয়েছে তাঁকে।

আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নলডাঙ্গা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মানিক ইসলাম নলডাঙ্গা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী বাবলু সরদারের ছেলে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে স্মার্ট কার্ডটি দেখিয়ে সমস্যার কথা জানালে কর্মকর্তারা মেশিনে পরীক্ষার পর জানান, তিনি ‘মৃত’।

মানিক ইসলাম অভিযোগ করেন, বাবাকে ভোট দেওয়ার জন্য কর্মস্থল ঢাকা থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি বাড়িতে এসেছেন। দুপুরের দিকে স্মার্ট কার্ড নিয়ে ভোট দিতে নলডাঙ্গা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। এ সময় স্মার্ট কার্ড থাকলেও ভোটার তালিকায় তাঁর নাম না থাকায় ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাঁকে ফিরিয়ে দেন। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে স্মার্ট কার্ডটি দেখিয়ে সমস্যার কথা জানালে কর্মকর্তারা মেশিনে পরীক্ষার পর জানান, তিনি ‘মৃত’। এই অবস্থায় তিনি তাঁর বাবাকে ভোট দিতে না পারার আক্ষেপ করেন।

ভুলবশত তাঁর নামটি মৃতের তালিকায় যেতে পারে, তা সময়মতো সংশোধন করা যেত।
সাইফুল ইসলাম, নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা

নলডাঙ্গা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কিশোয়ার বলেন, ওই ব্যক্তির স্মার্ট কার্ড থাকলেও ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। এ জন্য তাঁর ভোট দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। তাই তাঁকে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে সংশোধনী কাগজ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম না থাকলে ভোট দেওয়ায় কোনো সুযোগ নেই। তবে ভোটের পর কার্ডটি সংশোধন করে নেওয়া যাবে। তিনি বলেন, ভোটার তালিকা প্রকাশের পর ওই তালিকায় তাঁর নাম আছে কি না, তা আগেই যাচাই করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। ভুলবশত তাঁর নামটি মৃতের তালিকায় যেতে পারে, তা সময়মতো সংশোধন করা যেত।