না.গঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে শুক্রবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে তোলা ছবি।
দিনার মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকার মসজিদে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আর গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছে ১৯ জন। নিহতদের মধ্যে সাত বছরের একজন শিশু রয়েছে। তার নাম জুবায়ের।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ১৮ জন মারা গেছে।

এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক চিকিৎসক সামন্ত লাল সাংবাদিকদের জানান, নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে মারা গেছেন ১১ জন। তাঁর ওই ব্রিফিংয়ের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আর ৭ জনের মৃত্যু হয়।

চিকিৎসক সামন্ত লাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর ১৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রায় সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।

বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন, মসজিদের মোয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তাঁর ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), মুন্সিগঞ্জের কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), পটুয়াখালীর গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ (৩০), নারায়ণগঞ্জের হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), নারায়ণগঞ্জের কলেজ শিক্ষার্থী মো. রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টসকর্মী নয়ন (২৭), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুবায়ের (৭) এবং বাহার উদ্দিন (৫৫) । মারা যাওয়া ব্যক্তিরা তল্লা এলাকার বাসিন্দা।

বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, মারা যাওয়া মসজিদের মোয়াজ্জিন দেলোয়ারের শ্বাসনালির ৮৭ ভাগ পুড়ে যায়। এ ছাড়া মারা যাওয়া রাসেলের শ্বাসনালীর ১০০ ভাগ, কুদ্দুস ব্যাপারীর ৯০ ভাগ, জয়নালের ৯০ ভাগ এবং গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহীমের ৯০ ভাগ শ্বাসনালি পুড়ে যায়।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার মসজিদে বিস্ফোরণে ৫০ জনের অধিক গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে ৩৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় যারা চিকিৎসাধীন তাঁরা হলেন, মো. ফরিদ (৫৫), শেখ ফরিদ (২১), মনির ফরাজী (৩০), আবুল বাসার মোল্লা (৫১), শামীম হাসান (৪৫), মো. আলী মাস্টার (৫৫), মো. কেনান (২৪), নজরুল ইসলাম (৫০), আবদুল আজিজ (৪০), নিজাম (৩৪), নাদিম (৪৫), হান্নান (৫০), আবদুস সাত্তার (৪০), সিফাত (১৮), জুলহাস উদ্দিন (৩০), আমজাদ (৩৭), মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মামুন (২৩) এবং ইমরান (৩০)।