নাইক্ষ্যংছড়ির নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত

নাইক্ষ্যংছড়িতে তুমব্রু খালের পাহাড়ি ঢলে ডুবে যাওয়া তুমব্রুবাজার। রোববার দুপরে তোলা।
ছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আবারও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির প্লাবিত হয়েছে। এতে আজ রোববার ঘুমধুমের শতাধিক পরিবার দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। গতকাল শনিবার তারা বাড়িতে ফিরেছিল। ওই এলাকা ২৭ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত পানিতে ডুবেছিল বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ঘুমধুম ইউনিয়নে রোববার ভোর থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। একটানা তিন-চার ঘণ্টার বৃষ্টিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু খালের পানি দ্রুত বেড়ে যায়। দুপুরে তুমব্রুবাজার, কোনাপাড়াবাজার, উত্তর ঘুমধুম বড়ুয়াপাড়া ও হিন্দুপাড়া তলিয়ে গেলে মানুষ উঁচু এলাকায় আশ্রয় নেয়। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে পানিবন্দী লোকজনকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দীন মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, লোকজন শনিবার বাড়িঘরে ফিরেছিলেন। কিন্তু ভারী বৃষ্টিতে খালের পানি বেড়ে গেলে রোববার দুপুরে আবার তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছেন। পাহাড়ি ঢলে ৪০ পরিবারের মাটির ঘর ভেঙে গেছে। অনেকের বাঁশের ঘর ভেসে গেছে। তুমব্রুবাজার এলাকার একটি পুকুর পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে আসা পলিতে ভরাট হয়ে গেছে।

ঘুমধুমের কোনাপাড়াবাজার বরাবর তুমব্রু খালের পূর্ব পাড়ে সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের একাংশও ডুবে গেছে। সেখানকার রোহিঙ্গা সরদার দীল মোহাম্মদ জানান, দুই দিন আগে তাঁদের শিবির থেকে পানি সরে গিয়েছিল। আবার প্লাবিত হয়েছে। তাঁরা এখন বিশুদ্ধ পানি ও রান্না করা খাবারের সমস্যায় আছেন।
তুমব্রু এলাকার লোকজন এক সপ্তাহের মধ্যে দুবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেন বলে জানালেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শফি উল্লাহ। তিনি বলেন, তাঁরা খুবই সংকটে আছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মজনুর রহমান বলেন, ঘুমধুমে দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে আবার শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে।