নাটোর সদরের ইউএনও কোভিডে আক্রান্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর আলম, সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আনসারুল হক ও পাঁচ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগ শনাক্তের এ তথ্য নাটোরের সিভিল সার্জন কার্যালয়কে জানিয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২৭।

সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, নাটোর সদরের ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম ও সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আনসারুল হক ছাড়াও সংক্রমিতদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচ ব্যাংক কর্মকর্তা। তাঁরা হচ্ছেন সোনালী ব্যাংকের আহমেদপুর শাখার ব্যবস্থাপক রওশন আহমেদ, একই শাখার কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন, কই ব্যাংকের কানাইখালি শাখার হাবিল উদ্দিন, জনতা ব্যাংকের নাটোর প্রধান শাখার শামীমা শিরিন ও ইসলামী ব্যাংকের নাটোর শাখার ফরহাদ হোসেন।

নতুন শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আরও রয়েছেন নাটোর জজকোর্টের কম্পিউটার অপারেটর মাকসূরাতুন ও তাঁর মা শিল্পী বেগম। তাঁরা শহরের কানাইখালি এলাকায় বাস করেন। স্বাস্থ্য বিভাগে আরও আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন গাড়িচালক রাকিবুল ইসলাম, আয়নাল হক ও লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিয়ন আবদুল কাদের।

এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচজন শিক্ষার্থী ও কয়েকজন ব্যবসায়ী এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

জেলা সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান জানান, তিন দিন ধরে নাটোরে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসছিল না। বৃহস্পতিবার রাতে ২১ জনের সংক্রমণের তথ্য জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এমন দুজন রয়েছেন, যাঁরা চার মাস ধরে করোনা প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা রাখছিলেন।