নাটোরে ইটভাটার দূষণ বন্ধের দাবি তোলায় যুবককে পিটিয়ে জখম

নাটোর জেলার মানচিত্র
প্রথম আলো

ইটভাটার দূষণ বন্ধের দাবি তোলায় নাটোরের গুরুদাসপুরে ওয়াজুল হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে ভাটামালিকের ছেলে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে বলে অভিযোগ। আজ সোমবার পৌরসভার চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লায় ওই ঘটনা ঘটে। আহত যুবককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ওয়াজুলকে নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর মা জয়নব বিবি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে ইটভাটার মালিক জাকির সোনারের ছেলে সাকিল সোনার, দুই ভাতিজা রুবেল সোনার, আলীম সোনার ও ভাই জাহাঙ্গীর সোনারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লায় ছয়টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এসব ভাটায় ইট তৈরির জন্য ছোট–বড় ট্রাক ও ট্রলিতে করে মাটি বহন করা হচ্ছে। বহন করা মাটি-বালি পড়ে সড়ক এবং আশপাশের এলাকায় ধুলায় ধূসর হয়ে উঠেছে। দূষণের কারণে অনেকেই শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাতেও ভুগছেন বলে দাবি তাঁদের।

এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে গতকাল রোববার মহল্লার মানুষ সম্মিলিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এই ঘটনার সূত্র ধরে আজ ইটভাটামালিক জাকির সোনারের ছেলে, ভাই ও ভাতিজারা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ওয়াজুল হোসেনকে জখম করেন।

ইউএনও তমাল হোসেন বলেন, দূষণ বন্ধের জন্য ইটভাটার মালিকদের সতর্ক করা হয়েছিল। আজ নির্যাতনের শিকার যুবকসহ মহল্লার মানুষ তাঁর দপ্তরে এসেছিলেন। এ বিষয়ে ওসিকে আইনগত নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ওয়াজুলের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তবে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর সোনার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভুল–বোঝাবুঝি থেকে বিচ্ছিন্ন ঘটনাটি ঘটেছে।’