নাটোরে বখাটের অ্যাসিডে ঝলসে গেল কলেজছাত্রীর মুখ

অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার নারী
প্রতীকী ছবি

নাটোর সদরে গতকাল রোববার বখাটেদের ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে গেছে এক কলেজছাত্রীর মুখমণ্ডল। উপজেলার লালমনিপুর সেতুর ওপর দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাঁর দিকে অ্যাসিড ছুড়ে মারে। বর্তমানে দগ্ধ তরুণী ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

অ্যাসিডদগ্ধ কলেজছাত্রীর নাম সানজিদা খাতুন (১৮)। তিনি সদর উপজেলার লালমনিপুর গ্রামের নুরুল ইসলামে মেয়ে এবং রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সানজিদা খাতুন নাটোর শহরে প্রাইভেট পড়ে গতকাল সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাড়ির কাছাকাছি লালমনিপুর সেতুর ওপর পৌঁছালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। তিনি দৌড়ে বাড়ির ভেতর গিয়ে অ্যাসিডদগ্ধ হওয়ার কথা জানান।তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল রাতেই তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। আজ সোমবার ভোরে ঢাকার হাসপাতালে কলেজছাত্রী সানজিদাকে ভর্তি করা হয়েছে, বর্তমানে সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কর্মকর্তা (ইএমও) আবদুল কাদির জানান, সানজিদার পুরো মুখ ঝলসে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সানজিদার চাচাতো ভাই মেহেদি বাবু জানান, অ্যাসিড নিক্ষেপকারীদের সানজিদা চিনতে পেরেছেন। তারা বখাটে তরুণ।

এদিকে ঘটনার পরপরই অ্যাসিড নিক্ষেপকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে। গতকাল গভীর রাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর রহমান জানান, তরুণীর চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত থাকায় কেউ এখনো মামলা করেননি। তবে পুলিশ ঘটনার পরপরই সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করেছে। একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, অ্যাসিড নিক্ষেপকারীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চারটির বেশি দল কাজ করছে। শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে, তারা কেউ ছাড় পাবে না। পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।