নাটোরে বিকাশে টাকা আত্মসাৎ চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

নাটোরের লালপুর উপজেলায় নম্বর ক্লোন করে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব–৫) সদস্যরা। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার মোহরকায়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাবের নাটোর ক্যাম্প সূত্র জানায়, আজ ভোরে ওই প্রতারক দলের কয়েকজন সদস্য একত্র হয়ে মুঠোফোনের মাধ্যমে অন্যের ফোন থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে র‍্যাবের একটি দল মোহরকায়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের পাঁচ সদস্যকে পাঁচটি মুঠোফোনসহ গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার তরুণেরা হলেন লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর পূর্বপাড়ার আবদুর রহিমের ছেলে শাকিল আহমেদ (২৩), একই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সেলিম আলী (২০), জিয়ারুল ইসলামের ছেলে শান্ত ইসলাম (১৯) এবং মোহরকায়া গ্রামের নাজিম প্রামাণিকের ছেলে সোহেল রানা (২৮) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে মুহাইমিনুল ইসলাম।

চক্রটি কিভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল জানতে চাইলে নাটোর র‍্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন বলেন, তাঁরা দুটি উপায়ে টাকা হাতিয়ে নেন। এর একটি হলো ইমো অ্যাপ ব্যবহার করে প্রথমে কারও নম্বর ক্লোন করেন। পরে ওই নম্বরের ব্যক্তির পরিচিতজনদের ফোন দিয়ে নানা বিপদের কথা শুনিয়ে তাৎক্ষণিক অর্থ সাহায্য চান। পরিচিত নম্বর থেকে ফোন পেয়ে অনেকে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দেন। টাকা তুল নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই ফোন নম্বর অকার্যকর করে দেয় চক্রটি। প্রতারণার অপর পদ্ধতিটি হলো মুঠোফোন নম্বর জানা আছে, এমন কাউকে ইমো অ্যাপ থেকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘আপনার বিকাশ নম্বরে ভুলক্রমে আমার কিছু টাকা চলে গেছে। পিন নম্বরটা দিলে আমি টাকাগুলো ফেরত নিতে পারব।’ সরল বিশ্বাসে কেউ কেউ পিন নম্বর দিয়ে দেন। তখন প্রতারকেরা দ্রুত পিন নম্বর ব্যবহার করে তাঁর বিকাশ নম্বরের সব টাকা তুলে নেন।

ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, গোপনে খবর পেয়ে র‍্যাবের একটি দল মোহরকায়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের পাঁচজনকে আটক করে। এ সময় কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের লালপুর থানায় সোপর্দ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন, আজ সকালে তাঁদের নাটোর আমলি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।