নারায়ণগঞ্জে নারী প্রার্থীকে কেন্দ্র ছাড়তে সাংসদের ভাগনের হুমকি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এক সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীকে হুমকি দিয়ে কেন্দ্র ছাড়া করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার সকাল ১০টায় ৫২ নং ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারী প্রার্থীর নাম মোসা. রোকিয়া। সূর্যমুখী ফুল প্রতীক নিয়ে তিনি ফতেহপুর ইউপির ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচন করছেন।
মোসা. রোকিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে ভোট গ্রহণ দেখতে তিনি কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন। এ সময় উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ইকবাল হোসেন মোল্লা কেন্দ্রে এসে তাঁকে ও তাঁর এজেন্টদের বের হয়ে যেতে বলেন। কেন্দ্র ছাড়তে রাজি না হলে ইকবাল ভোটারদের সামনেই তাঁকে গালাগাল ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
নারী প্রার্থী রোকিয়া বলেন, ‘উনি ভোটারদের সামনে রাস্তায় দাঁড়াইয়া আমারে গালিগালাজ করছে। বলছে, কেন্দ্র না ছাড়লে আমারে দেইখা নিব। আমার ছেলেরে পুলিশ দিয়া গ্রেপ্তার করাইব। অপমান সহ্য করতে না পাইরা আমি কেন্দ্র ছাইড়া বাসায় আসছি। উনি বই প্রতীকের প্রার্থীর হইয়া কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করতেছেন।’ তিনি এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেবেন বলে জানান।
ইকবাল হোসেন নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সাংসদ নজরুল ইসলামের ভাগনে। ইকবালের বাবা আবু তালেব মোল্লা ফতেপুর ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হওয়ার পথে।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে ইকবাল হোসেনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
অভিযোগ বিষয়ে এ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী সজীব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘লোকমুখে শুনেছি, ভোটকেন্দ্রের বাইরে ইকবাল হোসেন এক নারী প্রার্থীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। আমি বিষয়টি দেখিনি। ওই প্রার্থীর পক্ষের এজেন্টরা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন।’
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুশান্ত দেবনাথ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩৫ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন।’
আজ সকাল আটটা থেকে আড়াইহাজারের ১০টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ চলছে। ফতেপুর ও হাইজাদী ইউপির পাঁচটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।