নারায়ণগঞ্জে নিখোঁজ, মুন্সিগঞ্জে লাশ

লাশ
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে ১ মাস ২০ দিন আগে নিখোঁজ এক ব্যক্তির লাশ বুধবার রাতে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় আত্মীয়ের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে লাশটি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার মামলা হয়েছে। এতে দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উদ্ধার লাশটি রফিকুল ইসলামের (৪২)। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদরের ফতুল্লার লালপুর গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেপ্তার দুজন হলেন মুন্সিগঞ্জ সদরের রামপাল গ্রামের বাসিন্দা রফিকুলের মায়ের খালাতো বোন সুলতানা রাজিয়া (৫১) ও তাঁর গৃহকর্মী আম্বিয়া বেগম (৩২)।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, আজ সকালে রফিকুলের ভাই ওই দুই নারীসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এতে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের পুলিশের হেফাজতে নিয়ে সাত দিন জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

রফিকুলের ছোট ভাই মো. জনি বলেন, শেয়ারবাজারে রফিকুলের সঙ্গে রাজিয়ার ব্যবসা ছিল। এই টাকার জন্য পরিকল্পিতভাবে তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।

২ নভেম্বর রাতে রাজিয়ার বাসায় যান রফিকুল। সকালে ওই বাড়িতে অন্য লোকজন আসেন। সে সময় রফিকুল ঘরের মধ্যে থাকা কাঠের সিন্দুকে ঢুকে পড়েন। সেখানে দমবন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
রাজিব খান, পরিদর্শক, হাতিমারা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র, মুন্সিগঞ্জ

তবে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রফিকুলের সঙ্গে রাজিয়ার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। এ কারণে রফিকুল প্রায়ই রাজিয়ার বাড়িতে যেতেন। গত ২ নভেম্বর রফিকুল বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফেরেননি। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় তাঁর পরিবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। এর জেরে বুধবার রাজিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে রাজিয়া জানান, রফিকুলের লাশ তাঁর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর আছে। রাত পৌনে নয়টার দিকে সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

রামপাল গ্রামটি হাতিমারা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের অধীন। এখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক রাজিব খান প্রথম আলোকে বলেন, ২ নভেম্বর রাতে রফিকুল রাজিয়ার বাসায় যান। সকালে ওই বাড়িতে অন্য লোকজন আসেন। সে সময় রফিকুল ঘরের মধ্যে থাকা কাঠের সিন্দুকে ঢুকে পড়েন। সেখানে দমবন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। পরে রাজিয়া ও আম্বিয়া লাশটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন।