নারী কর্মীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ইউপি ভবনে হামলা ও ভাঙচুর

জামালপুর জেলার মানচিত্র

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ের ভবনে এক নারীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ওই ভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন এক বখাটে ও তাঁর লোকজন। আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদ প্রাঙ্গণে বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার উপকারভোগীদের হিসাব নম্বর খুলে দেওয়ার কাজ করছিলেন এক নারী কর্মী। এ সময় মিনাল খান নামের এক যুবক ওই নারীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। ওই নারী বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমকে জানান। চেয়ারম্যান গিয়ে প্রথমে ওই যুবককে সতর্ক করেন এবং পরে থাপ্পড় মারেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই যুবক বাড়িতে গিয়ে শতাধিক লোক নিয়ে এসে ইউপি ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন এবং চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

পরিষদ প্রাঙ্গণে বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার উপকারভোগীদের হিসাব নম্বর খুলে দেওয়ার কাজ করছিলেন এক নারী কর্মী। এ সময় মিনাল খান নামের এক যুবক ওই নারীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন।

সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন গ্রামের উপকারভোগীদের হিসাব নম্বর খোলার কাজ করছিলেন ওই নারী। খানপাড়া গ্রামের বাবুল খানের ছেলে বখাটে মিনাল খান ওই নারীকে পরিষদ প্রাঙ্গণেই উত্ত্যক্ত করছিলেন। ওই নারী আমাকে এসে বিচার দেন। বিষয়টি নিয়ে আমি ওই বখাটে যুবককে শুধু সতর্ক করি। এতেই তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর গ্রামের শতাধিক লোক নিয়ে পরিষদ ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যান।’

পুলিশ আসার পর থেকে অভিযুক্ত মিনাল খান পলাতক। তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা যায়নি বলে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এক নারীকে উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শতাধিক লোক পরিষদ ভবনে ইট ছুড়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।