নারীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে নালিশি মামলার আবেদন

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশের ছয় সদস্য, হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ মোট ১০ জনকে আসামি করে আদালতে নালিশি মামলার আবেদন করেছেন এক নারী।

আজ রোববার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে নালিশি মামলার আবেদনটি করেন ওই নারী।

বাদীর আইনজীবী মো. ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছেন।

নালিশি মামলার আবেদনে আসামি হিসেবে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান ওরফে রাসেল, হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মকিব হাসান, সেলিম মিয়া, কফিল উদ্দিন, কনস্টেবল মো. পারভেজ, মো. সাইফুল, বৈশাখী রহমান, পুলিশের সোর্স রিংকু সুলতান, মো. হেলাল ও হেলাল উদ্দিন।

নালিশি মামলার আবেদনে অভিযোগে বলা হয়, বাদীর একটি পারিবারিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন আরিফুর। সেই সুবাদে বাদীর সঙ্গে আরিফুরের সম্পর্ক হয়। পরে বাদীকে বিয়ের আশ্বাস দেন আরিফুর। কিন্তু বিয়ে করবেন বলে আরিফুর হয়রানি করতে থাকেন। বিয়ের কথা বলে কৌশলে বাদীকে গত বছরের ২৩ জুলাই হাটহাজারীর একটি রেস্ট হাউসে নিয়ে যান আরিফুর। সেখানে পুলিশের মাধ্যমে ইয়াবা পাঠানো হয়। ৩৯৫টি ইয়াবা বড়িসহ তাঁকে (বাদী) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাঁচ মাস কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। পরে পারিবারিকভাবে আলোচনা করে নালিশি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন।

বাদী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশের মাধ্যমে ইয়াবা দিয়ে আমাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। জড়িত সবার যেন সাজা হয়, তা চাই আমি।’

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাটহাজারী থানার এসআই কফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, মামলা থেকে বাঁচার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন বাদী।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুরের মুঠোফোনে আজ বেলা সোয়া দুইটার দিকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি।