নাসিরনগরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দ্বিতীয়বার করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস পরীক্ষা
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের দ্বিতীয়বারের মতো করোনা শনাক্ত হয়েছে। মাসখানেক আগে তিনি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার বনশ্রীর বাসায় আইসোলেশনে আছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেন। ১৪ ও ১৫ মার্চ তিনি জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন। ১৬ মার্চ তিনি করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৯ মার্চ তাঁর করোনা পজিটিভ ফল আসে। করোনা শনাক্ত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাঁকে ঢাকার বাসায় আইসোলেশনে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।

সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর শরীরের অবস্থা এখন ভালো। গত বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে তিনি প্রথমবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি ১৪ দিন আইসোলেশনে ছিলেন।

নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় বলেন, টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ না করা পর্যন্ত করোনা–আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। টিকা নেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দুই সপ্তাহ বা ১৪ দিন পর টিকার কার্যকারিতা শুরু হয়। আর প্রথম ডোজ নেওয়ার পর কিংবা একবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আরেকবার যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৫৭ জন। করোনায় মারা গেছেন ৪৮ জন।