নিজে স্কুলশিক্ষক, বাল্যবিবাহ দিচ্ছিলেন মেয়েকে

বাল্যবিবাহ
প্রতীকী ছবি

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় গতকাল রোববার রাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এক স্কুলছাত্রীর বিয়ে বন্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাত্রীর পরিবারকে জরিমানার পাশাপাশি বাল্যবিবাহ না দেওয়ার মুচলেকা নিয়েছেন। ছাত্রীর বাবা স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনমুন জাহান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের একটি গ্রামে নবম শ্রেণিপড়ুয়া ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে ইউএনও সে খবর পান। গতকাল রাত ১০টায় ইউএনও ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ সময় কনের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে আদালতে মুচলেকা দেন ছাত্রীর বাবা।

ইউএনও মুনমুন জাহান বলেন, ওই পরিবার সচ্ছল। ছাত্রীর বাবা স্কুলশিক্ষক। একজন সচেতন মানুষ হওয়ার পরও তিনি বাল্যবিবাহের আয়োজন করেন। গ্রামটি দুর্গম। রাতে প্রায় এক কিলোমিটার হেঁটে ওই বাড়িতে পৌঁছতে হয়। আবার যাতে গোপনে ওই ছাত্রীকে অন্য কোথাও বিয়ে দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে খোঁজ রাখা হবে।