নিজের নামে পাম্প বরাদ্দ নিয়ে বিক্রি করলেন আ.লীগ নেতা

নিজের নামে একটি সরকারি সাবমারসিবল পাম্প বরাদ্দ নেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। চুক্তি ছিল, পাম্পটি তাঁর বাড়িতে স্থাপিত হবে। গ্রামের মানুষ সুপেয় পানি পাবে। কিন্তু ঠিকাদার পাম্প স্থাপনে গেলে ওই নেতা অন্য বাড়ি দেখিয়ে দেন। এতে সন্দেহ হয় ঠিকাদারের। পরে তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই নেতা পাম্পটি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন।

সরকারি পাম্প বিক্রির এ অভিযোগ উঠেছে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলীর (৫০) বিরুদ্ধে। পরে পাম্পটি কোনো বাড়িতেই স্থাপন না করে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও পাম্প স্থাপনে নিযুক্ত ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামের মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা নিশ্চিত করতে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ডেমরা ইউনিয়নে ২৬টি সাবমারসিবল পাম্প বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে একটি পাম্প নিজের নামে বরাদ্দ নেন ইউনিয়নের শাকপালা গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ আলী। গত বুধবার পাম্প স্থাপনে নিযুক্ত ঠিকাদার আশরাফের বাড়িতে পাম্পটি স্থাপন করতে যান। এ সময় আশারাফ পাম্পটি ওই গ্রামের আবদুল হাই নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে স্থাপন করতে বলেন।

বরাদ্দকৃত নামে গরমিল থাকায় ঠিকাদারের লোকজন পাম্পটি স্থাপন করে বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে জানান। পরে তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ ৪০ হাজার টাকায় পাম্পটি বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ সরেজমিন বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পাম্পটি কোনো বাড়িতেই স্থাপন না করে ফিরিয়ে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে ডেমরা ইউপির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারাই পাম্পটি বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন। পরে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ পাম্পটি ফিরিয়ে নিয়ে গেছে।

এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, একজনের নামে বরাদ্দকৃত পাম্প বিক্রি বা অন্য কারও বাড়িতে স্থাপনের সুযোগ নেই। ফলে পাম্পটি ফেরত নেওয়া হয়েছে। পরে অন্য কারও নামে বরাদ্দ দিয়ে স্থাপন করা হবে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ বলেন, ‘আমি পাম্প বিক্রি করিনি। পাম্পটি গ্রামের হাইকে দেওয়ার কথা ছিল। ভুলবশত সেটি আমার নামে হয়ে যায়। ফলে হাইয়ের বাড়িতে পাম্পটি বসাতে বলেছিলাম।’