নিজেরা নৌকার কার্যালয় ভাঙচুর করে বিএনপির নামে মামলা: লালমনিরহাট বিএনপি

নৌকার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা আওয়ামী লীগের সাজানো দাবি করে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
ছবি: প্রথম আলো

লালমনিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নৌকার প্রার্থীর অনুসারীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছে জেলা বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মিশন মোড় এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিএনপি সব সময় আচরণ বিধিমালা মেনে চলছে, তবু পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিএনপির পূর্বনির্ধারিত অনেক পথসভার স্থানে একই সময়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পথসভার আয়োজন করা হচ্ছে, এতে বিএনপির বেশ কিছু পথসভা স্থগিত করতে হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের বাসায় পুলিশ মধ্যরাতে হানা দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের কাজ করলে মামলার ভয় দেখায়। এর একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাতে নয়ারহাট এলাকার নৌকা প্রতীকের কার্যালয়ে তাদেরই লোকজন ভাঙচুর করে বিএনপি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৪২ নেতা–কর্মীর নামে গায়েবি মামলা করে।
লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ এ মামলায় এজাহারভুক্ত জেলা বিএনপির কার্যকরী কমিটির সদস্য সাইদুল ইসলাম ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন থেকে বিএনপিকে দূরে সরিয়ে রাখার ঘৃণ্য মানসিকতায় সরকারদলীয় লোকজন এই মিথ্যা মামলা করে গ্রেপ্তার–বাণিজ্য শুরু করেছে। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তার বিএনপির নেতাদের মুক্তি দাবি করা হয়েছে।

লালমনিরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের আসবাব ভাঙচুর ও তাতে আগুন লাগানোর অভিযোগে গত বুধবার লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা করেন ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। মামলায় ৫৯ জনের নাম–পরিচয় উল্লেখ করে আরও দেড় শ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব বলেছেন, এর মধ্যে ৪২ জন তাঁদের নেতা–কর্মী ও সমর্থক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মামলায় অভিযুক্ত অবশিষ্ট ১৭ জন মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বহিষ্কৃত প্রার্থী নারকেলগাছ প্রতীকের রেজাউল করিম স্বপনের অনুসারী নেতা–কর্মী ও সমর্থক।

রেজাউল করিম বলেন, হামলা, মামলা ও অপ্রচার করে তাঁকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে পারবে না কেউ।

জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম মমিনুল হক, ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।